দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানে কোনও চিনা সংস্থায় অফিস চলার সময়ে মুসলমান কর্মীরা নমাজ পড়তে পারবেন না। কেই নমাজ পড়তে চাইল বাধা দেওয়া হচ্ছে। এক মুসলমান ধর্মীয় প্রধান এই অভিযোগ তুলে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই বিস্ফোরক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওয় এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পাকিস্তানিদের আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে। ওই আর্জিতে তিনি এমনও বলেছেন, চিনা কোম্পানিগুলিকে সাফ জানিয়ে দিতে হবে যে, এই দেশে তাদের নয়। স্থানীয় আইন মেনে চলতে তারা বাধ্য।
অনেকেই জোর করে অফিসে নমাজ পড়তে গিয়ে চাকরি হারানোর ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি করে ওই ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছে, আমরা নমাজ উপেক্ষা করতে পারি না। এটা এখন আমাদের আত্মমর্যাদার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্ম অনুসারে নমাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসমালের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হচ্ছে নমাজ পাঠ। আর নমাজ পাঠেই বাধা দেওয়া হচ্ছে ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের মুসলমানদের। এমনই অভিযোগ করা হয়েছে পাকিস্তানে ব্যবসা করা চিনা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। এই সম্পর্কিত ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন
লালা-ঘাম ছাড়া কী ভাবে সুইং করবে বল, কতটা বদল হবে ক্রিকেটে, উত্তর মিলবে আগামী সপ্তাহেই
পাকিস্তানের বন্ধু দেশে চিনের সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরে ক্রমশই তা নিয়ে শোরগোল জমে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাকিস্তানে চিনের দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি রয়েছে। পাকিস্তানের বাজার ধরা নিয়েও চিনের স্বার্থ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ভিডিও ঘিরে শোরগোলে অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। চিনা কোম্পানিগুলিতে ইসলামি রীতিনীতি মানা নিয়ে বিরোধ, কড়াকড়ি পাকিস্তানে মুসলমান জনগোষ্ঠীর উপরে আগ্রাসী চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের কারামে শহরে দাড়ি রাখা পুরুষ ও বোরখা পরা মহিলাদের গণ পরিবহণ ব্যবহারে শি জিনপিং সরকারের নিষেধাজ্ঞা ঘিরে ইতিমধ্যেই মুসলিম বিশ্বের রোষের মুখে পড়েছে চিন। এমনকী গণ পরিবহণে ইসলামের প্রতীক তারা ও অর্ধচন্দ্র ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এই সব প্রশ্নে চিনে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।