
স্তন্যপান করানোর ছবি অশ্লীল হতে পারে না, বলল কেরল হাইকোর্ট
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মা শিশুকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, এমন ছবিতে কোনও অশ্লীলতা থাকতে পারে না। যা এক জনের চোখে অশ্লীলতা, তা-ই অন্যের চোখে কবিতা হতে পারে। সৌন্দর্য দেখার চোখ চাই। কেরল হাইকোর্টের এই মন্তব্য একটি মালয়ালি পত্রিকার প্রচ্ছদকে ঘিরে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মা অনাবৃত শরীরে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন। প্রচ্ছদের মডেলের নাম গিলু জোসেফ। কেরলের জনপ্রিয় ম্যাগাজ়িন ‘গৃহলক্ষ্মী’র মার্চ মাসের ওই সংখ্যাটি ছিল স্তন্যপানের উপকারিতা নিয়ে। এই সংখ্য়া নিয়ে বিতর্ক তুলে অশ্লীলতার একটি মামলা হয় কেরল হাইকোর্টে।
বিচারপতিরা বলেছেন, তাঁরা অনেক চেষ্টা করেও ছবিটিতে কোনও অশ্লীলতা খুঁজে পাননি। মুখ্য বিচারপতি অ্যান্টনি ডমিনিক এবং বিচারপতি ডোমা শেষাদ্রি নায়ডু বলেছেন, “রাজা রবি বর্মার ছবি আমরা যে ভাবে দেখি, এই ছবিটিও আমরা সেই ভাবেই দেখেছি। সৌন্দর্য হোক, বা অশ্লীলতা, সবটাই নির্ভর করে যে দেখছে তার উপর। ”
তাঁরা আরও বলেছেন, যা এক জনের চোখে অশ্লীল, অন্যের চোখে তা-ই শৈল্পিক হতে পারে। ভারতীয় জনমানস এতটাই পরিণত যে অনেক সময় পবিত্র কোনও শিল্পের মধ্যেও ইন্দ্রিয়সুখের খোঁজ পান অনেকে। অজন্তার চিত্রগুলিও তো এমনই।
তাঁরা আরও বলেছেন, যা এক জনের চোখে অশ্লীল, অন্যের চোখে তা-ই শৈল্পিক হতে পারে। ভারতীয় জনমানস এতটাই পরিণত যে অনেক সময় পবিত্র কোনও শিল্পের মধ্যেও ইন্দ্রিয়সুখের খোঁজ পান অনেকে। অজন্তার চিত্রগুলিও তো এমনই।
ওই পত্রিকার প্রচারে বলা হয়েছিল, “ব্রেস্টফিড ফ্রিলি, মায়েরা, কেরলকে বলুন, আমাদের দিকে তাকানো বন্ধ করুন। সন্তানকে স্তন্যপান করানো আমাদের অধিকার।” এই সচেতনতা প্রচারে অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা নিয়েছিলেন দুবাইয়ের মডেল ২৮ বছর বয়সী গিলু। তিনি বলেন, যে কোনও ধরনের ট্রোলিংয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত। গিলু বলেন, “আমাকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। আমাকে পর্নোগ্রাফির অভিনেতা বলা হয়েছে। আমার মাকে যা তা বলা হয়েছে। আমি জানতাম আমাকে এ সব শুনতে হবে। কিন্তু শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”