
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কিছুদিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছিলেন চার অশ্বেতাঙ্গ মহিলা কংগ্রেস উওম্যান। ট্রাম্প তাঁদের কটাক্ষ করে বলেন, তোমরা যে দেশ থেকে এসেছ, সেখানেই ফিরে যাও। নিজেদের দেশে ঠিকঠাক সরকার চালানোর চেষ্টা কর। তারপরে আমেরিকার সমালোচনা করবে। এই মন্তব্যের পরে নানা মহল থেকে ট্রাম্পকে জাতিবিদ্বেষী বলে সমালোচনা করা হয়। এবার তাঁদের সঙ্গে গলা মেলালেন প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা।
শুক্রবার মিশেল টুইট করেন, আমেরিকা আমাদের সকলের। কৃষ্ণাঙ্গী প্রাক্তন ফার্স্ট লেডির দাবি, এখানে কেউ বলতে পারে না যে, আমার আমেরিকা বা তোমার আমেরিকা। আমেরিকা আমাদের সকলের। এই দেশে নানা বৈচিত্র আছে। বৈচিত্রই আমেরিকাকে মহান করে তুলেছে। কারও এদেশে জন্ম হোক বা অন্য দেশ থেকে এদেশে আসুক, আমেরিকায় সকলের জন্যই জায়গা আছে।
What truly makes our country great is its diversity. I’ve seen that beauty in so many ways over the years. Whether we are born here or seek refuge here, there’s a place for us all. We must remember it’s not my America or your America. It’s our America.
— Michelle Obama (@MichelleObama) July 19, 2019
মঙ্গলবার ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ট্রাম্পকে তিরস্কার করা হয়। জনপ্রতিনিধিরা একবাক্যে বলেন, প্রেসিডেন্ট জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন।
বুধবার রাতে নর্থ ক্যারোলিনায় গ্রিনভিলে ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা এগেন’ নীতির সমর্থনে মিছিল হয়। সেখানে সোমালি বংশোদ্ভূত কংগ্রেস উওম্যান ইলহান ওমরের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে ‘সেন্ড হার ব্যাক’। ওকে দেশে ফিরিয়ে দাও।
বুধবার অবশ্য ট্রাম্প ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের জানান, তিনি ওরকম স্লোগান শুনে খুশি হননি। যারা স্লোগান দিচ্ছিল, তাদের থামাতে চেষ্টা করেছিলেন। যদিও টিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার আগে অন্তত ১০ সেকেন্ড ওই স্লোগান চলেছিল।
সোমালি বংশোদ্ভূত ওই জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, আমি আপনাদের একটা কথা বলছি। তিনি ভাগ্যবতী। তাই এদেশে আসতে পেরেছেন।
ট্রাম্প যে চার মহিলার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র ওমরের জন্ম হয়েছে আমেরিকার বাইরে। অপর তিনজনের পূর্বপুরুষরা কয়েক প্রজন্ম আগে আরব, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ ও আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আমেরিকায় এসেছেন।
ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির কয়েকজন তাঁকে বলেছেন, এত চড়া সুরে মন্তব্য করবেন না। সুর নরম করুন। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে বিদেশী বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েই যাবেন। এর ফলে যদি দেশে জাতিবিদ্বেষ বাড়ে, তাতেও পরোয়া নেই।
ওমর নিজে ট্রাম্পকে বলেছেন ফ্যাসিস্ট। তাঁর কথায়, সোমালি বংশোদ্ভূত একজন কংগ্রেসের সদস্য হয়েছেন দেখে ট্রাম্পের রাতের ঘুম চলে গিয়েছে।