
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গো-বিজ্ঞানের উপরে আয়োজিত অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন দেশের পাঁচ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী! ইউজিসি-র তরফে দেশের ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, পবিত্র গোমাতার প্রতিদান যে কতটা বিজ্ঞানসম্মত, তা নিয়ে চর্চা করতে এবং এই পরীক্ষায় বসতে যেন সকল পরীক্ষার্থীকে উতসাহ দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় পশু মন্ত্রকের তরফে সামনে আনা হয় রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের কথা। তাদেরই তত্ত্বাবধানে আগামী বৃহস্পতিবার আয়োজিত হতে চলেছে এই পরীক্ষা। কামধেনু আয়োগের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই আপলোড করা হয়েছে পরীক্ষার সিলেবাস।
দিন কয়েক আগেই পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের গো-মন্তব্য ঘিরে সাড়া পড়ে গিয়েছিল সারা রাজ্যে তথা দেশে। তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় গরুদের পিঠের কুঁজে এমন কোনও বিশেষত্ব রয়েছে, যা সূর্যালোক সংশ্লেষ করে তার দুধে সোনা উতপাদন করে। সেকারণেই গরুর দুধের রং খানিক হলদেটে। গো-বিজ্ঞান নিয়ে আসন্ন পরীক্ষার সিলেবাসেও দেখা যাচ্ছে এমনটাই লেখা রয়েছে।
শুধু তাই নয়, পাশাপাশি সিলেবাসে আছে, নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন কমাতে সাহায্য করে গোবর। এ নিয়ে রাশিয়া ও ভারতে গবেষণা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এমনকি গোবরের কারণে ভোপালের বাসিন্দারা গ্যাস-বিপর্যের তীব্রতা খানিক কম ভুগেছেন বলেও দাবি সিলেবাসে।

এই সবটা নিয়ে দেশের একটা বড় অংশের মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ও প্রতিবাদ ঘনিয়ে উঠলেও, রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভাই কাঠিরিয়া বলছেন, “এতে কোনও অবৈজ্ঞানিক ব্যাপার নেই। আমরা ভারতীয় গরুর মাহাত্ম্য প্রচার করতে চাই। সেই কারণেই এই পরীক্ষা।” এ বিষয়টি তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেও খোলসা করেছেন। জানিয়েছেন, আয়োগের তরফে আয়োজন করা হয়েছে ‘কামধেনু গো-বিজ্ঞান প্রচার প্রসার’। সারা দেশের তরফে অংশগ্রহণ চেয়েছেন তিনি।
গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। মোট ১৩টি ভাষায় নেওয়া হবে এই পরীক্ষা। আয়োগের মুখপাত্র পুরীশ কুমার দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ ১০ হাজার নাম জমা পড়েছে। এই প্রথম দেশে এমন একটা পরীক্ষা হতে চলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আশা, আগামী বছরে দেশে গরু এবং পরীক্ষার্থী—উভয়ের সংখ্যাই কয়েক গুণ বাড়বে। পরীক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।