
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত সপ্তাহেই কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, রাজস্থানে তাদের বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে ডিল করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। বিধায়ক কেনাবেচা করে সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্তে মন্ত্রী জড়িত। এই অভিযোগে দু’টি এফআইআর করা হয়। সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র নিয়ে তদন্তে সোমবার নোটিস পাঠানো হল মন্ত্রীকে। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কংগ্রেস দাবি করে, বিদ্রোহী বিধায়ক ভানওয়ারলাল শর্মার সঙ্গে ঘুষের টাকার অঙ্ক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। সেই কথোপকথনের অডিও টেপ আছে তাদের কাছে। এদিন কেন্দ্রীয় ‘জলশক্তি’ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “আমি যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। আমাকে যদি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়, আমি নিশ্চয় যাব।”
সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রে সঞ্জয় জৈন নামে এক ব্যবসায়ীর নাম জড়িয়েছিল। তিনি শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন। বিজেপি দাবি করেছে, ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের বক্তব্য, কংগ্রেসে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে। তার সঙ্গে অযথা বিজেপির নেতা ও সমর্থকদের নাম জড়ানো হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, রাজস্থান সরকার রাজনীতিকদের ফোনে আড়ি পাতছে। তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র নিয়ে নিয়ে পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এর পাশাপাশি এদিনই রাজস্থানে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে হাইকোর্ট। গত সপ্তাহে বিধানসভার স্পিকার সি পি যোশি শচীন পাইলটদের নোটিস দিয়ে জানতে চান, দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁদের ডিসকোয়ালিফাই করা হবে না কেন? এরপরে হাইকোর্ট বলে, মঙ্গলবার অবধি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবেন না স্পিকার। গত সপ্তাহে অশোক গেহলোট কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে দু’টি বৈঠক করেন। তার একটিতেও উপস্থিত হননি শচীন বা তাঁর অনুগামীরা। গত শনিবার রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই শোনা যায়, চলতি সপ্তাহেই বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা দিতে পারে সরকার।
শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দিল্লির কাছে দু’টি রিসর্টে ছিলেন। হাইকোর্টে তাঁরা বলেছেন, বিধানসভায় যখন অধিবেশন চলছে না, তখন স্পিকার তাঁদের নোটিস দিতে পারেন না।
২০০ সদস্যবিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে আছেন ১০২ জন বিধায়ক। গরিষ্ঠতা পেতে যতজনের সমর্থন প্রয়োজন, তার চেয়ে মাত্র একজন বেশি বিধায়ক আছেন অশোক গেহলোটের পক্ষে। বিজেপির পক্ষে আছেন ৭২ জন বিধায়ক। শচীন পাইলটদের শিবিরে আছেন ১৯ জন বিধায়ক। সুতরাং বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা হলে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।