
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদের পর কি এবার মালদাতেও আলকায়দা জঙ্গিদের জাল বিছিয়ে পড়েছে?
সূত্রের খবর, ডোমকল, রানি নগর থেকে ধৃত ছ’জনকে জেরা করে তেমনই তথ্য পেয়েছেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। জানা গিয়েছে, আলকায়দা যোগে ধৃতরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। সেই গ্রুপেই নতুন স্ট্র্যাটেজি, জঙ্গি নেতাদের বক্তব্য, জেহাদি দস্তাবেজ চালাচালি চলত।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই হোয়াটসগ্রুপে ২২ জন সদস্য ছিল। মোট ন’জনকে এখনও পর্যন্ত ধরেছে এনআইএ। ছ’জনকে.মুর্শিদাবাদ থেকে। এবং তিন জনকে কেরলের এর্নাকুলাম থেকে। ওই তিন জনও মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বাকি ১৩ জনই নাকি মালদার।
এনআইএ মনে করছে, বাকিরা সকলেই মালদার বৈষ্ণবঘাটা এবং কালিয়াচক এলাকার। এবার সেই সমস্ত এলাকায় তল্লাশির প্রস্তুতি শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। সন্দেহভাজনরা যাতে পালাতে না পারে সেদিক লক্ষ্য রেখে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে এনআইএ।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িতদের জেরা করে একটি ফোন নম্বর পায় সেন্ট্রাল আইবি। তার জিপিএস লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায় মুর্শিদাবাদ থেকে ফোন অপারেট হচ্ছে। সেই নম্বর থেকে কোথায় কোথায় ফোন যাচ্ছে তা নজর রাখেন গোয়েন্দারা। তখনই কেরলের এর্নাকুলামের নাম উঠে আসে।
শনিবার সকালে এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই হইহই পড়ে যায় বাংলায়। যদিও তাদের না জানিয়ে এনআইএ কেন তল্লাশি অভিযানে এসেছিল তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে নবান্ন। এনআইএ-এর পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তার থেকে জবাব তলব করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র।