
ওট মিল্ক নাকি বাদামের দুধ, দেখে নিন কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগেকার দিনে দিদা ঠাকুমারা শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য গোরুর দুধের ওপরেই সবথেকে বেশি জোড় দিতেন। সকালে কিংবা রাতে ডিনারের পর দুধ খাওয়া ছিল বাধ্যতামূলক। তবে হাল আমলে অনেকেই ভেগান হওয়ার জন্য বা গোরুর দুধ সহ্য করতে না পারার জন্য বেছে নিচ্ছেন ওট মিল্ক বা বাদামের দুধ।

আজকাল সকলেই শরীর সচেতন, চেষ্টা করছেন ওজন কমানোর। তাই কম ক্যালোরিযুক্ত খাবারের দিকেই ঝুঁকছেন অনেকেই। তার জন্য অনেকেই ওট মিল্ক, বাদামের দুধকে বেছে নিচ্ছেন। তবে এক্ষেত্রে বাদামের দুধ তুলনামূলকভাবে বেশি স্বাস্থ্যকর। ওট মিল্ক অনেকবেশি ঘন হয়, ও এর মধ্যে কার্বস থাকে। বাদামের দুধ ও ওট মিল্ক দুটোতেই রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও এ।
ওট মিল্ক

ওটসকে ভিজিয়ে নিয়ে, তারপর ওটার ভেতর থেকে নির্যাসটা বের করে নিতে হবে। ওটসসের দুধ অনেকটা পুরু, ঘন হয় আর এর স্বাদ একেবারে গোরুর দুধের মতোই হয়।
উপকারিতা
ওট মিল্ক বাদামের দুধের থেকে ঘন ও ক্রিমি হয়। বেকিংয়ের জন্য এটা খুবই ভাল। বাদামের দুধের তুলনায় থকথকে হওয়ার জন্য এর স্বাদ অনেকটা ভাল হয় বাদামের দুধের থেকে।এছাড়াও ওট মিল্কের মধ্যে ফাইবার থাকে যা হজমে সহায়তা করে, সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
বাদাম দুধ
বাদাম পিষে এই দুধ বের করা হয়। পেষার আগে বাদামকে অনেকক্ষণ জলে ভিজিয়ে তৈরি করা হয়। চাইলে চিনি দিয়েও খেতে পারেন।
উপকারিতা
ওট মিল্কের তুলনায় বাদামের দুধে ভিটামিন ই, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, বি২, ডি, এবং বি১২ মতো পুষ্টিতে ভরপুর।বাদামের দুধেও রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং কম ক্যালোরি থাকে। যাঁরা ডায়েট নিয়ে সচেতন তাঁরা বাদামের দুই ট্রাই করতে পারেন।
উপসংহার
ওট মিল্ক ও বাদামের দুধ দুটোর মধ্যেই রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। তবে বাদামে যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে তাঁরা ওট মিল্ক বেছে নিতে পারেন।