
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ সেস বাবদ যত টাকা আদায় করেছে, তার পুরোটাই রাজ্যগুলিকে দেওয়া হোক। বুধবার মোদী সরকারের কাছে এমনই দাবি করল বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি। তাদের হিসাবমতো এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে আদায় হওয়া কমপেনসেশন সেসের পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ পেলে তবে রাজ্যগুলি অতিমহামারীর সময় তাদের খরচ চালাতে সমর্থ হবে।
গত সোমবার রাতে কমপেনসেশন সেস বাবদ রাজ্যগুলিকে ২০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সালের আর্থিক বছরে এই প্রথমবার রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল। এদিন ছত্তিসগড়ের বাণিজ্যিক কর মন্ত্রী টি এস সিং দেও বলেন, অগাস্ট মাস অবধি জিএসটি-র ক্ষতিপূরণ বাবদ আদায় হয়েছিল ২৯ হাজার কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তাঁর দাবি, ইন্টিগ্রেটেড গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বাবদ আদায় করা অর্থ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে দিক ১১ হাজার কোটি টাকা। পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল এই দাবি সমর্থন করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেন সেস বাবদ সংগৃহীত অর্থ নিজের কাছে না রাখে।
গত ২৭ অগাস্ট জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে দু’টি সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজস্ব সচিব জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যগুলিকে কম সুদে ৯৭ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হবে। ২০২২ সালের মধ্যে সেই ঋণ শোধ করতে হবে। সেস বসিয়ে ঋণশোধের অর্থ সংগ্রহ করবে রাজ্যগুলি। অথবা রাজ্যগুলি পুরো ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকাই ঋণ নিতে পারবে। কোন রাজ্য কত টাকা ঋণ নেবে, তা জানাতে হবে আগামী সাত দিনের মধ্যে।
বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, কেরল, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং তেলঙ্গানা এখনও পর্যন্ত দু’টি সুযোগের কোনওটিই গ্রহণ করেনি। একটি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২১ টি রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ৯৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে।
২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে দেশে জিএসটি চালু হয়। এই সংক্রান্ত আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জিএসটি চালুর জন্য রাজ্যগুলির রাজস্ব আদায় কমবে। রাজস্ব আদায় যদি ১৪ শতাংশের বেশি কমে, তাহলে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেছেন, জিএসটি-র জন্য রাজ্যগুলির রাজস্ব আদায় কমেছে। এই করোনা সংকটে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ক্ষতিপূরণ দিক।