
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল কাশ্মীরের পরিস্থিতি। স্থানীয় কাশ্মীরবাসীরা ফুঁসে উঠেছিলেন ক্ষোভে। প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল উপত্যকা। এবার জম্মু ও কাশ্মীরে জমি ও বাড়ি কেনার বিষয়েও ছাড় ঘোষণা করল কেন্দ্র। জানাল, কাশ্মীরের বাইরের বাসিন্দারাও উপত্যকায় জমি বা বাড়ি কিনতে পারবেন। এই ঘোষণার পরেই ফের নতুন করে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে উপত্যকা।
এই প্রসঙ্গে আক্রমণ শানিয়েছেন ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, “কাশ্মীরে সেল শুরু হয়ে গিয়েছে।” ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, যে ২৬টি নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে তা কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না কাশ্মীরবাসী।
এত দিন কাশ্মীরের মধ্যে কোনও জমি বা বাড়ি কেনার অধিকার একমাত্র ছিল কাশ্মীরের ভূমিপুত্রদের। ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে এই নিয়ম উঠে যেতেই বসেছিল। এবার কেন্দ্র ঘোষণা করে দিল, কাশ্মীরের যে কোনও প্রান্তে এবার জমি-বাড়ি কিনতে পারেন সারা দেশের নাগরিক।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট ৩৭০ তুলে নেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। গোটা উপত্যকায় বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ ছিল বিমান ওঠা-নামাও। জারি হয়েছিল এক অলিখিত কার্ফু। কয়েক মাস একটানা বিচ্ছিন্ন ছিল জম্মু-কাশ্মীর। অক্টোবর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলায়।

এর পরেই কাশ্মীরের নিজস্ব অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে নতুন করে জোট বাঁধতে শুরু করেন উপত্যকার রাজনৈতিক নেতারা। এনসি এবং পিডিপি জোট বেঁধে লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি শুরু করে। কয়েক সপ্তাহ আগেই ওমর আবদুল্লার বাসভবনে বৈঠকে বসেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা০সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা। সেখানেই কাশ্মীরের অধিকার ফিরিয়ে আনার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে জমি-বাড়ি কেনা নিয়ে কেন্দ্রের ছাড় ঘোষণায় নতুন করে উত্তাপের বাতাবরণ ঘনিয়েছে উপত্যকা জুড়ে।