
মোবাইলে চার্জ প্রায় শেষ, ছুটলেন ওজিল
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জার্মানির বেস ক্যাম্পের মিডিয়া কর্ণারে উপচে পড়ছে ভিড়। দেশ-বিদেশের সাংবাদিকরা ঘিরে ধরছেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ের, টনি ক্রুজদের। এক ব্রিটিশ সাংবাদিক তাঁর প্রতিবেদনে লিখলেন, ‘সবাই আছে। কিন্তু আমি যাঁকে খুজছি সে নেই। আমি এক সাপোর্ট স্টাফকে জিজ্ঞাসা করলাম তিনি কই? বিশাল উচ্চতার জার্মান ভদ্রলোক আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।’
সবাই উঠে গিয়েছে অনুশীলন সেরে। কিন্তু বেস ক্যাম্পের মাঠে তখনও রয়ে গিয়েছেন দু’জন। মেসুট ওজিল এবং স্যামি খেদিরা। স্প্রিন্ট টেনে চলেছেন আর্সেনাল এবং জুভেন্টাসের মিডফিল্ডার। জোয়াকিম লো’র টিমের অন্যতম দুই ভরসা। আলাদা করে নিজেদের ফিটনেস অনুশীলন করছেন। প্র্যাকটিস সেশনের পর খেদিরা ওজিলের আলাদা অনুশীলন জানান দিল জার্মানির জেদ।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন। বার্লিনের দেওয়াল ভেঙে দুই জার্মানি এক হওয়ার পর ব্রাজিলের মাটিতেই প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল বেকেনবাওয়ারের দেশ। এমনিতেই ফুটবল মাঠে একটা প্রচলিত কথা আছে, জার্মানরা হারার আগে হারে না। আর ওজিল টুইট করে লিখলেন, তাঁর মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে যেভাবে তিনি বাড়ি ফেরেন মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে, সেভাবেই স্প্রিন্ট টানছেন প্র্যাকটিসে। বুঝিয়ে দিলেন তাগিদ। বুঝিয়ে দিলেন খিদে।
ধারাবাহিকতার দিক থেকে জার্মানি চিরকালই এগিয়ে। টিম গেমের মন্ত্রেই যাদের ফুটবল চলে। সেখানে ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানার জায়গা নেই খুব একটা। প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে নামার আগে তাই সতর্ক জার্মান ব্রিগেড। হেড স্যার লো রাশিয়ায় নেমেই জানিয়েছিলেন, ‘আমরা না চাইলেও মাথার উপর চাপ নিয়েই নামতে হবে।’
আর জার্মানি-মেক্সিকো ম্যাচ গোটা দুনিয়ার ফুটবলপ্রেমীদের কাছে অন্য উৎসাহের ম্যাচ। কারণ দুই ঘরানার ফুটবল। একদিকে পাওয়ার এবং গতি অন্য দিকে মেক্সিকানদের লাতিন স্টাইল। ফলে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় গ্রুপ ‘এফ’-এর এই ম্যাচ অন্যতম উত্তেজনা ভরা ম্যাচ হবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক ফুটবল মহল।
That moment when you realize your mobile phone battery is on 1% … ?? #DieMannschaft #Worldcup2018 @DFB_Team pic.twitter.com/Hh5VS6otfO
— Mesut Özil (@MesutOzil1088) June 14, 2018