
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা লোপ করার পরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, ভারতের বিরোধিতা করার জন্য যতদূর যেতে হয় যাব। তার পরেই জানা গেল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে নতুন করে প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করেছে জঙ্গিরা। সেখানে অন্তত কয়েক হাজার সন্ত্রাসবাদীর প্রশিক্ষণ চলছে। অন্যদিকে কাশ্মীর সীমান্তে ২ হাজার সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে পাকিস্তান। একদিকে জঙ্গি অন্যদিকে সেনাবাহিনী। এই দুইয়ের সাহায্যে কাশ্মীরকে ফের অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করছে ইমরান খানের প্রশাসন।
একটি সূত্রের খবর, জৈশ ই মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর ই তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠন গত অগস্টেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণ শিবির বানিয়েছে। সেখানে পাকিস্তানের সেনা অফিসাররা তাদের ট্রেনিং দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে ঢোকানোর চেষ্টা হবে। তাদের ওপরে নির্দেশ আছে, মূলত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর ওপরে আক্রমণ চালাতে হবে।
জঙ্গিদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য করছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তারা স্থির করেছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চল থেকে ১০ হাজার যুবককে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীতে ভেড়ানো হবে।
জঙ্গিদের সীমান্ত পার করে ভারতে পাঠানোর জন্য হিজবুলের কম্যান্ডার সমশের খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে কিংবা অক্টোবরের শুরুতে জঙ্গিদের ঢোকানোর চেষ্টা হবে।
অন্যদিকে এলওসি-র কাছে বাঘ ও কোটলি সেক্টরে দু’হাজার সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে তারা। এখনই তারা আক্রমণ করবে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু ভারতীয় সেনা তাদের ওপরে নজর রাখছে।
সেনাবাহিনীর গোয়েন্দারা কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানি সেনা কয়েকজন আফগান যুবককে ট্রেনিং দিচ্ছে। কাশ্মীরি জঙ্গিদের বদলে তাদেরই এবার সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে ঢোকানো হবে।