
নাম শুনে হাসি পেলে কী হবে, অসামান্য সৌন্দর্যে মুগ্ধ করবে ভারতের এই গ্রামগুলো
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিখ্যাত নাটক ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’-এ শেক্সপিয়ার লিখেছিলেন, “হোয়াট’জ ইন আ নেম!”
কিন্তু বেড়ানোর ক্ষেত্রে, রোমান্টিসিজমের ক্ষেত্রে নামে অনেক কিছুই যায় আসে। এই বিশেষ ক্ষেত্রে শেক্সপিয়ারের সঙ্গে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেন। কোনও কোনও জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার আগে, সেখানকার নাম শুনলেই মনের মধ্যে নানা দৃশ্য ঘুরপাক খায়। কল্পনা করতে করতে জায়গায় পৌঁছানোর আগেই, সেখানে ঢুবে যান অনেকে। বলা যেতে পারে নাম শুনেই একপ্রকার ভ্রমণ হয়ে যায় অনেকের। কিন্তু ভারতে এমন কিছু গ্রাম রয়েছে, যার অদ্ভূত হাস্যকর নাম সেখানকার সৌন্দর্য ঢেকে দিয়েছে। হয়তো নাম শুনেই হেসে গড়িয়ে পড়বেন, কিংবা গা ঘিনঘিন করবে। কিন্তু গ্রামগুলো এতটাই সুন্দর, চাক্ষুষ দেখলে নামের সঙ্গে কোনও সাদৃশ্যই খুঁজে পাবেন না। যেমন
লোলপুর, উত্তরপ্রদেশ


বিশেষ কোন কারণে এই গ্রামের নাম লোলপুর, সেকথা ওখানকার মানুষও জানেন না। তবে গ্রামের নামের সঙ্গে মানুষদের কোনও সাদৃশ্য আছে কিনা, সেটাও অজানা অনেকের। দিল্লি থেকে ৫৩৬ কিমি দূরত্বের এই গ্রামের সৌন্দর্য দেখলে দু তিন সেখানে থেকে যেতে ইচ্ছে করতে লাগলো পারে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছেই রয়েছে লখনৌ, আর পাটনা।
গাধা, গুজরাট
গুজরাটের পাটানে সান্তালপুর তেহসিলে গাধা গ্রাম অবস্থিত। ১১০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে রয়েছে গ্রামটি। বহু মানুষ বসবাসও করেন। গ্রামের খুব কাছেই রয়েছে রাধানপুর শহর। গ্রামের নাম মুখে বলতে সেখানকার মানুষই লজ্জা পান। আবার কারও কারও মতে, এই নামের পরিবর্তন হওয়াটা আবশ্যিক।
পনৌতি, উত্তরপ্রদেশ
উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার খুব কাছের এই গ্রামে প্রায় তিন হাজার মানুষ বসবাস করেন। গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে যায় মন্দাকিনী নদী। গ্রামের অবর্ণনীয় সৌন্দর্য থাকলেও, নামের কারণেই সেটা ঢাকা পড়ে যায় বলে অনেকের মত। আসলে পনৌতি কথার অর্থ হল আনলাকি, বা দুর্ভাগ্য। কিন্তু গ্রামের মানুষ এই নাম নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামান না।
পিম্পল সওদাগর, পূণে
সুন্দর দাগছোপ মুক্ত ত্বকের আকাঙ্ক্ষা যাঁদের, তাঁরা যেতে সাহস পাবেন কিনা জানা নেই, তবে এখানকার সৌন্দর্য দেখলে স্থির থাকা মুশকিল। এমনকি এখানকার মানুষজনও ভীষণ শিক্ষিত। নামে তাঁদের কিছু যায় না আসলেও, কেউ কেউ যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন এখানে।
কালা বাকরা, পাঞ্জাব
হিন্দি শব্দ কালো বাকরার বাংলা মানে হল কালো ছাগল। জলন্ধর- পাঠানকোট রোডের পাশেই এই গ্রামটি অবস্থিত। ৪৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে এই গ্রামটিতে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। এই নামে সেখানে একটি স্টেশনও রয়েছে। নাম শুনলেই হয়তো অনেকের মনে হবে, সেখানকার মানুষের কালো ছাগলের প্রতি ভাললাগা আছে কিনা। কিন্তু এই নামের পিছনের আসল কারণ সেখানকার মানুষদেরই অজানা।