
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গতবছর পরীক্ষা ছিল। তাই ভোট দিতে পারিনি। এবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পেরে দারুণ লাগছে। প্রত্যেকেরই ভোটাধিকার প্রয়োগ করা উচিত। শনিবার সাংবাদিকদের বললেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার ছেলে রাইহান বঢরা। গতবছর তাঁর বয়স হয়েছে ১৮। এদিন তিনি মা প্রিয়ঙ্কা এবং বাবা রবার্ট বঢরার সঙ্গে দিল্লিতে ভোট দেন।
রাইহানকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কী কী বিষয় বিবেচনা করে ভোট দিয়েছেন? তিনি বলেন, “আমি বরাবরই দিল্লির বাসিন্দা। আমি চাই এই দিল্লি বিশ্বমানের শহরগুলির সমকক্ষ হয়ে উঠুক। আমি জনগণের স্বার্থেই ভোট দিয়েছি।”
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দিল্লিতে নতুন সরকার গঠিত হলে কোন কাজটি প্রথমে করা উচিত হবে মনে করেন? তিনি বলেন, “আমি মনে করি গণ পরিবহণ ব্যবস্থা আরও উন্নত হওয়া উচিত। ছাত্রদের জন্য ভরতুকি দেওয়া উচিত। আমি নিজেও ছাত্র। আমার জন্য এই ভরতুকি প্রয়োজনীয়।”
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ছেলে পুলকিতও এবার প্রথম ভোট দিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার বাবাই কি ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন? তিনি বলেন, “মানুষ যাঁকে চাইবে, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।”
২০১৫-র ভোটে দিল্লির ৭০ টি আসনের মধ্যে কেজরিওয়ালের দল একাই পেয়েছিল ৬৭ টি। বিজেপি পেয়েছিল বাকি তিনটি। কংগ্রেস একসময় পরপর তিনটি দফায় দিল্লি শাসন করেছে। কিন্তু সেবার একটিও আসন পায়নি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি দিল্লির সবকটি আসন পেয়েছিল।
এবার মহিলারা কাকে ভোট দেবেন, তার ওপরে দিল্লির ভোটে জয়-পরাজয় অনেকাংশে নির্ভর করবে। ২০১৫ সালের ভোটে দেখা গিয়েছিল, ২০ টি কেন্দ্রে মহিলারা ভোট দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি সংখ্যায়। সেই কেন্দ্রগুলিতে জিতেছে আপ। যে সব কেন্দ্রে মহিলারা কম সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন, সেখানে তুলনামূলকভাবে কেজরিওয়ালের দল খারাপ ফল করেছে।