
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত ১ জুলাই উত্তর দিল্লির বুরারি অঞ্চলে এক বাড়িতে মিলেছিল ১১ জনের মৃতদেহ। পুলিশের ধারণা, তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন। এবার সাইকোলজিকাল অটপ্সি অর্থাৎ মনস্তাত্ত্বিক সুরতহালেও মিলল তার প্রমাণ।
কোনও ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন কিনা জানার জন্য সাইকোলজিক্যাল অটপ্সি করা হয়। তদন্তকারীরা মৃতের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানার চেষ্টা করেন, মৃত্যুর আগে সংশিষ্ট ব্যক্তির মানসিক অবস্থা কেমন ছিল। একেই সাইকোলজিকাল অটপ্সি বলা হয়।
বুরারির ঘটনায় সাইকোলজিকাল অটোপ্সি করেছিল সিবিআই। গত বুধবার ওই সংস্থা দিল্লি পুলিশের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
বুরারিতে মৃতদের মধ্যে ছিলেন ৭৭ বছর বয়সী নারায়ণী দেবী, তাঁর মেয়ে প্রতিভা, দুই ছেলে ভবনেশ ভাটিয়া ও ললিত ভাটিয়া, তাঁদের স্ত্রী সবিতা ও টিনা ও নারায়ণী দেবীর পাঁচ নাতি নাতনি প্রিয়াংকা, নীতু, মনু, ধ্রুব ও শিবম। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। নারায়ণী দেবীর দেহটি পাশের ঘরে খাটের ওপরে শোয়ানো ছিল। মৃত্যুর আগে তাঁরা একটি নোট রেখে গিয়েছেন। যা থেকে মনে হয়, ভাটিয়া পরিবারের লোকেরা বিশ্বাস করত, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলে এক মৃত পূর্বপুরুষ তাঁদের রক্ষা করবেন।