
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কোভিড ১৯, নোটবন্দি আর জিএসটি। মোদী সরকারের তিনটি ব্যর্থতা নিয়ে আগামী দিনে পড়ানো হবে হার্ভার্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুলে। সোমবার সকালেই কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে এমন টুইট করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের কয়েকটা ক্লিপিংসও তিনি আপলোড করেছেন।
মোদীর ভাষণের ক্লিপিংসগুলির মধ্যে আছে, তিনি জনতা কার্ফু ঘোষণা করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানে প্রদীপ জ্বালাতে বলছেন। এক জায়গায় মোদী বলছেন, “মহাভারতের যুদ্ধ জিততে লেগেছিল ১৮ দিন। কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিততে লাগবে ২১ দিন।”
Future HBS case studies on failure:
1. Covid19.
2. Demonetisation.
3. GST implementation. pic.twitter.com/fkzJ3BlLH4— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 6, 2020
যে দেশগুলি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁর মধ্যে ভারত আছে তিন নম্বরে। রবিবার সন্ধ্যায় আমাদের দেশ রাশিয়াকে অতিক্রম করে গিয়েছে। রাশিয়ায় এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৮০ হাজার। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। ভারতের আগে আছে ব্রাজিল ও আমেরিকা। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ। আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লক্ষেরও বেশি।
রবিবার ভারতে ২৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৬১৩ জন। লকডাউন শিথিল করার পরেই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। অর্থনৈতিক কাজকর্ম যাতে শুরু হয়, সেজন্যই লকডাউনে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বলা হয়েছে, বাইরে বেরোনর সময় মাস্ক পরতে হবে। হাত ধুতে হবে ঘন ঘন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
কংগ্রেসের বক্তব্য, মোদী এর আগে দু’টি বড় ভুল করেছিলেন। প্রথমত ২০১৬ সালের নোটবন্দি। দ্বিতীয়ত ২০১৭ সালের জিএসটি। এবার করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় মোদী তৃতীয় বড় ভুলটি করলেন।
আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে উঠেছেন ১৫,৩৫০ জন। ভারতে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৪,২৪,৪৩৩ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৬০.৮৬ শতাংশ। এই সুস্থতার হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে দেশে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২,৫৩,২৮৭।