
দ্য ওয়াল ব্যুরো : রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হল। বুধবার বিবৃতি দিয়ে এমনই জানালেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। ওই বিবৃতির মাধ্যমে রাজ্যপাল কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটকে। তিনি পরোক্ষে বলতে চেয়েছেন, রাজস্থানে অতিমহামারী নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ গেহলোট সরকার।
রাজ্যপাল বলেছেন, অতিমহামারীর জন্য গত ১৩ মার্চ বিধানসভার অধিবেশন বাতিল করে দেওয়া হয়। তখন রাজ্যে মাত্র দু’জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছিল। ১ জুলাই রাজ্যে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয় ৩৩৮১। এখন রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। যেভাবে ওই ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তা উদ্বেগের বিষয়। মানুষকে অতিমহামারীর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রাজ্য সরকারের তৎপর হওয়া উচিত।
কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট বিদ্রোহ করার পর থেকে টালমাটাল চলছে রাজস্থানের রাজনীতিতে। শচীনের পক্ষে আছেন ১৮ জন বিধায়ক। ২০০ আসনবিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য যতজন বিধায়ক দরকার, তার চেয়ে মাত্র একজন বেশি আছেন গেহলোটের পক্ষে। তিনি চেয়েছিলেন, দ্রুত বিধানসভার অধিবেশন বসুক। সেখানে তিনি গরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন। অধিবেশন ডাকার জন্য তিনি দু’বার রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছিলেন। প্রথমবার রাজ্যপাল সরাসরি অনুরোধ নাকচ করে দেন। দ্বিতীয়বার তিনি বলেন, কয়েকটি শর্ত মানলে অধিবেশন ডাকা যেতে পারে। যদিও ওই শর্তগুলি গেহলোটের পক্ষে মানা সম্ভব হবে কিনা এখনও জানা যায়নি।
এর মধ্যে গেহলোটের বিরুদ্ধে তৎপর হয়েছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। রাজস্থানে দলের ছয় বিধায়কের উদ্দেশে তিনি হুইপ জারি করেছেন, তাঁরা যেন আস্থাভোটে গেহলোট সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেন। ওই ছয় বিএসপি বিধায়ক অবশ্য গত সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির বক্তব্য, তাঁরা ওইভাবে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন না। কারণ বিএসপি এবং কংগ্রেস, দু’টিই জাতীয় দল। একমাত্র জাতীয় স্তরে দুই দলের ঐক্য হতে পারে।
মায়াবতী বলেন, “আমরা কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটা সুযোগের অপেক্ষা করছিলাম। এখন আমরা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে যাব।”
অনেকেরই ধারণা যে, কংগ্রেস সরকারকে ফেলতে বিএসপি আগামী দিনে বিজেপির সঙ্গে সহযোগিতা করবে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিজেপির নির্দেশেই চলছেন মায়াবতী। দলিত নেত্রী সেই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।