
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল রানাঘাটের এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। চোখের চিকিৎসার ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, সরকারি নির্দেশেই আপাতত স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে তাঁদের হাসপাতালে! ঘটনায় রীতিমতো বিস্মিত সকলে।
এক দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বার্তা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা না মিললে বাতিল করা হতে পারে হাসপাতালের লাইসেন্স, এমনকি অভিযুক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করতে বলছেন তিনি, সেখানে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ নিজেই এর দায় চাপাচ্ছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের উপর!
নদিয়ার রানাঘাট থানার নেত্রজ্যোতি হাসপাতালে চোখের অপারেশন করাতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা পুষ্পা আইচ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গেলেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফিরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পুষ্পার স্বামী জানিয়েছেন, কার্ড দেখানোর পর নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, এই কার্ডে এখন কোনও পরিষেবা মিলবে না। চিকিৎসা করাতে হলে তাঁদের টাকা দিয়েই চিকিৎসা করাতে হবে।
এ বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে হাসপাতালের যে বৈঠক হয়, সেখানেই নাকি নির্দেশ দেওয়া হয়, আপাতত স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা বন্ধ রাখার জন্য। এ-ও বলা হয়, যতদিন না সরকারের তরফে পরিষেবা চালু করার আপডেট মিলছে, ততদিন পরিষেবা দেওয়া যাবে না।

পুষ্পা আইচের স্বামী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দিয়েছেন এবং তিনি ঘোষণা করেছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতালে মিলবে পরিষেবা। আমরা গরিব মানুষ, টাকা নেই অনেক খরচ করে অপারেশন করার। সে জন্যই কার্ড নিয়ে এসেছি, সেখান থেকে কীভাবে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।”
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী নিজে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংগ্রহ করে যে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার বার্তা দিলেন, তা অমান্য করার সাহস কী করে হচ্ছে হাসপাতালের? কী করেই বা তারা পাল্টা দায় চাপাচ্ছে সরকারি আধিকারিকদের উপর? তাহলে কি গোটা বিষয়টাতেই সমন্বয়ের ফাঁক থেকে গেছে? বিরোধীরা অবশ্য প্রথম থেকেই বলে আসছেন, সরকারি ধাপ্পা ছাড়া কিছুই নয় এই কার্ড।