
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর টিম চেঞ্জের দক্ষতা ছাপিয়ে যায় বড় বড় রাজনীতির ময়দানের মানুষদেরও। লাল থেকে নীল-সাদা হয়ে এখন তিনি গেরুয়া। আর পদ্মে নাম লিখিয়েই এক একটা বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন রুদ্রনীল। তাঁকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে রয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি করতে গেলে বাংলাটা কি ভুলে যেতে হয়?
সম্প্রতি রুদ্রনীলের সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে তিনি একটি পোস্ট করেন। আর সেই পোস্টের ক্যাপশনকে ঘিরেই নেটিজেনদের মধ্যে তৈরি হয় ক্ষোভ। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন রুদ্রনীলের ভাষার পরিবর্তন দেখে। বাঙালি কবে থেকে বাংগালি হয়ে গেল সেই নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। শাহ-মোদি প্রভাবেই কি তাঁর ভাষার এই আমূল পরিবর্তন এসেছে? সেই নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।
তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “এই দুই বাংগালির স্ট্রাগল, পরিশ্রম, বিচক্ষণতা, দায়িত্ববোধ ও সিদ্ধান্ত অনেক মানুষকে সাহস দেয়! নতুনভাবে ভাবতে শেখায়!” প্রসেনজিৎ ও মিঠুনকে নিয়ে করা তাঁর এই পোস্ট রাজ্য রাজনীতিতে অনেক জল্পনাকেই উসকে দিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন যে এর পরেই হয়তো বুম্বাদা আর মহাগুরুও নাম লেখাতে পারেন বিজেপিতে। তবে সবটাই সময়ের অপেক্ষা।
শুক্লা পঞ্চমীর পূণ্য তিথিতে প্রসেনজিতের বাসভবনে দেখা গেল বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে। যিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ফাউন্ডেশনের অন্যতম মাথা। দেখা গেল, তিনি প্রসেনজিৎকে অমিত শাহ বিজেপির অভিযান সংক্রান্ত একটি বই উপহার দিচ্ছেন। তা সাদরে হাসিমুখে গ্রহণ করছেন প্রসেনজিৎ।
আরও পড়ুন: প্রসেনজিতের বাড়িতে বিজেপি নেতা, অমিত শাহকে নিয়ে বই উপহার
অন্যদিকে সরস্বতী পুজোর সকালেই জানা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বইয়ের বাংলোয় গিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। যদিও সরসঙ্ঘ প্রধান এবং মিঠুন দুজনেই জানিয়েছিলেন এই সাক্ষাত্ সৌজন্যমূলক। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। মিঠুন বলেছিলেন, মোহন ভাগবতের সঙ্গে তাঁর আধ্যাত্মিক যোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিঠুনের বাড়িতে মোহন ভাগবত, আধ্যাত্মিক যোগ বললেন মহাগুরু
তবে সূত্রের মতে, প্রসেনজিৎ একা নয়, বিজেপি নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকের হিট জুটিটাই দলে টানতে চাইছে। প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। গেরুয়া শিবিরের একটি সূত্রের দাবি, ঋতুপর্ণার সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা শুরু হয়েছে।