
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্থানে বহুজন সমাজ পার্টির ছয় বিধায়ক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। তাঁদের কংগ্রেসে যোগদান অবৈধ বলে হাইকোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। বিএসপি-ও আলাদা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে, এখনই বিএসপি বিধায়কদের কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়টি ‘ফ্রিজ’ করা হচ্ছে না। একটি সিঙ্গল বেঞ্চ এসম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। যদি হাইকোর্ট বিএসপি বিধায়কদের কংগ্রেসে যোগদান অবৈধ ঘোষণা করত, তাহলে বিপাকে পড়তেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হত না।
বিএসপি বিধায়কদের নিয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ রায় দেবে সম্ভবত ১১ অগাস্ট। জুলাই মাসের শুরুতে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট। তাঁর সঙ্গে আছেন আরও ১৮ জন বিধায়ক। ২০০ সদস্য বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় গরিষ্ঠতা পেতে গেলে ১০১ জনের সমর্থন চাই। অশোক গেহলোটের দাবি, তাঁর পক্ষে আছেন ১০২ জন বিধায়ক।
রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সি পি যোশির কৌঁসুলি জানিয়েছেন, ১১ অগাস্ট হাইকোর্ট যাই রায় দিক, ১৪ অগাস্টের আগে তার বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর পথ খোলা থাকবে। বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে ১৪ অগাস্ট। সেখানে আস্থাভোট নেওয়া হবে। বিএসপি-র ছয় বিধায়ককে বাদ দিলে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা নেমে আসছে ৯৬ তে। অন্যদিকে রাজ্যে বিজেপির আছেন ৭২ জন বিধায়ক। বিদ্রোহী ১৯ জন বিধায়ক ও আরও তিন নির্দলকে ধরলে বিরোধীদের শক্তি দাঁড়াচ্ছে ৯৭।
বিএসপি নেত্রী মায়াবতী রাজস্থানে তাঁর দলের ছয় বিধায়কের উদ্দেশে হুইপ জারি করেছেন, তাঁরা যেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের বিরুদ্ধে ভোট দেন। তিনি বললেন, “বিধায়ক চুরি করার জন্য অশোক গেহলোটকে এবার শিক্ষা দেব।” কিন্তু কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে ওই ছয় বিধায়ক মায়াবতীর হুইপ মানতে বাধ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মায়াবতী বলেন, “বিএসপি-র আগেই কোর্টে যেতে পারত। কিন্তু আমরা কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটা সুযোগের অপেক্ষা করছিলাম। এখন আমরা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে যাব।”
বিএসপি আদালতে যে আবেদন করেছে, তাতে অনেকেরই ধারণা যে, কংগ্রেস সরকারকে ফেলতে তারা বিজেপির সঙ্গে সহযোগিতা করবে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিজেপির নির্দেশেই চলছেন মায়াবতী। দলিত নেত্রী সেই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
তিনি বলেন, “কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কি দেখতে পাচ্ছে না, রাজস্থানে কে চোরের মতো আচরণ করেছে? তারা কি গেহলোটের কাজকর্ম সম্পর্কে জানে না? তারা খুব সহজেই বিএসপি-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে পারে। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে চাইছে। তাই বলছে, আমরা নাকি বিজেপির হাতের পুতুল।”