
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লাখ টাকা কেজি! এমন দুর্মূল্যের সবজি বাজারে একটাই নাম, হপ শুট। যক্ষ্মা প্রতিষেধক থেকে শুরু করে বিয়ার প্রস্তুতি, সবেতেই উপকরণ হিসেবে হপের চাহিদা বিশ্বজোড়া। যদিও ভারতীয় ফসল নয়। উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলিতেই এর চাষ হয়। বিহারের মাটিতে হপ চাষ করে কিছুদিন আগেই দেশবাসীকে চমকে দিয়েছিলেন এক যুবক।
ঔরঙ্গাবাদের অমরেশ সিং। নামটা অবশ্য চেনা লাগতে পারে। খবরটাও। কারণ গত ফেব্রয়ারিতেই এক কেন্দ্রীয় সরকারি আমলা অমরেশের হপ চাষের সাফল্যের খবর দুখানা ছবি এবং একটা নিউজ কাটিং সহ টুইট করেন। ২৪,০০০ লাইক হয়েছিল সেই পোস্টে। ৫০০০ শেয়ারও। অমরেশকে নিয়ে খবরও হয়। কিন্তু এবার জানা গেল, তথ্যটা ছিল সম্পূর্ণ ভুল।
ভারতের বুকে হপ চাষ! মানে লক্ষ টাকা কেজি দরে আর হপ আমদানি করতে হবে না বিদেশ থেকে। অমরেশ সিং বিহারে হপ চাষে সফল হয়েছেন শুনে স্বভাবতই সকলে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল।
কিন্তু দেখা গেল বিষয়টা তা নয়। একটি হিন্দি সংবাদ সংস্থা অমরেশের গ্রামে গিয়েছিল। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, হপ জাতীয় কোনও কিছুই অমরেশ চাষ করেননি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাঁরা কোনওদিন হপের নামই শোনেননি। চাষ হতে দেখা দূরের কথা!
অমরেশকে ফোন করা হলে তিনি শুরুতে বলেছিলেন, হপ চাষের জমিটা আসলে নালন্দায়। গ্রাম থেকে ১৭২ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু সাংবাদিকদের টিম সেখানে পৌঁছে দেখে কিছুই নেই। আবার ফোন করতে অমরেশ জানায় জমিটা ঔরঙ্গাবাদে।
এদিকে ঔরঙ্গাবাদের জেলা শাসক সৌরভ জোরওয়াল অবাক হয়ে যান। পাটনার কিছু আধিকারিকও তাঁকে হপ চাষের ব্যাপারে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আশ্চর্য ব্যাপার! ঔরঙ্গাবাদে কোনও দিন হপ চাষ হয়েছে বলে তিনি জানেন না।
শেষমেশ খোঁজখবর করে জানা যায়, অমরেশ চাষ করেছিলেন ঠিকই। তবে হপ নয়। কেবল ব্ল্যাক রাইস আর গম ফলিয়েছেন তিনি।