
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তথ্যপ্রযুক্তির এই বিস্ফোরণের যুগে কিছুই যেন আর চাপা রাখা যায় না! জিবি জিবি ডেটার তলায় চাপা পড়ে থাকা ছবি, ভিডিও কখন দুম করে ভাইরাল হয়ে যাবে কে বলতে পারে! এই যেমন আজ হল।
হুগলির সাহাগঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। আর তারপরেই কয়েক বছর আগের একটি হু হু করে ছড়াতে শুরু করল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে ভিডিও পোস্ট করে, সায়নীর কথা ধার করেই অনেকে কটাক্ষ করছেন, ‘সত্যি বাবা, কী মেরুদণ্ডহীন!’
কী ভিডিও?
কয়েক বছর আগে পরিচালক অণীক দত্তর ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবিটির মুক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। তা নিয়ে ধর্মতলায় প্রতিবাদ সভা করেছিল পরিচালক, অভিনেত্রী, কলাকুশলীরা। এমনকি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তীও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের ‘ফ্যাসিবাদী প্রবণতা’র বিরুদ্ধে।
সেই সভাতেই সায়নী বলেছিলেন, “কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অনীকদা এমন বক্তব্য রেখেছিলেন যেটার এটা হয়তো একটা আফটার এফেক্ট হতে পারে (পড়ুন সিনেমা মুক্তিতে বাধা)। কী বলেছিলেন? বলেছিলেন, প্রথমবার দেখেছি, একটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে কোনও ছবির পোস্টার নেই শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার। ভুল কিছু বলেছে? এটা তো দেখছে সবাই। গায়ে লাগছে, সবাই চুপ করে আছে। বিকস উই আর ভেরি স্পাইনলেস! কোনও সভ্য দেশে এটা হয় না। মুখ্যমন্ত্রীকে যখনই এ নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে তখন উনি বলছেন দিস ইজ নট মাই সাবজেক্ট। রিয়েলি? দিস ইজ নট ইওর সাবজেক্ট?” শ্যুটিং বন্ধ করে টলি পাড়ার শিল্পীদের মিছিলে হাঁটানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন সায়নী।
সেই তিনিই আজ দিদির মঞ্চে। অনেকে বলছেন এটা অবধারিত ছিল। তথাগত রায়ের সঙ্গে সায়নীর সংঘাত পর্বে দিদি সায়নীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাও, দেখি কত ক্ষমতা। কেউ কেউ বলছেন, দিদি সেদিন সায়নীর পুরোনো কথা ভাবেননি। তাঁর বিজেপি বিরোধিতাকেই দেখতে চেয়েছিলেন। সায়নী তেমন মুক্ত চিন্তা রোধের বিরুদ্ধে দিদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ আপাতত সরিয়ে রেখে বিজেপি বিরোধিতাকেই সামনে রাখলেন। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প।
তবে কটাক্ষ, প্রশ্ন নতুন করে উঠতে শুরু করেছে। সায়নী এসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বলেন কিনা এখন সেটাই দেখার।