
দ্য ওয়াল ব্যুরো : রবিবারই রাজস্থানে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে বিধায়করা একবাক্যে বলেছেন, বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের যেন দলে ফিরিয়ে না নেওয়া হয়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানা গেল, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন শচীন। একটি সূত্রে খবর, শচীন ইতিমধ্যে কথা বলেছেন কংগ্রেসের দুই প্রথম সারির নেতা আহমেদ প্যাটেল ও কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে। এবার তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলতে চান। সেজন্য তিনি সময় চেয়েছেন।
রাহুল নিজে শচীনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছেন কিনা জানা যায়নি। কিন্তু পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাজি হয়েও যেতে পারেন। কারণ একসময় শচীনের সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। শচীন অবশ্য নিজে এসম্পর্কে মন্তব্য করতে চাননি।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের ‘কাজের পদ্ধতির’ বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন শচীন। তাঁর অনুগামী ১৮ জন বিধায়ক এখন রয়েছেন ফরিদাবাদ থেকে মানেসর পর্যন্ত নানা জায়গায়।
রবিবার মরুশহর জয়সলমিরে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক বসে। সেখানে নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল বলেন, যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাদের আর কখনই ফিরিয়ে নেওয়া উচিত নয়। অপর বিধায়করা একবাক্যে তাঁকে সমর্থন করেন। এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পাণ্ডে বলেন, কংগ্রেসে বিদ্রোহ নিয়ে ব্যবস্থা নেবে হাইকম্যান্ড। তবে তিনি নিজে চান, বিদ্রোহীদের যেন আর ফেরানো না হয়।
একটি সূত্রে জানা যায়, অশোক গেহলোট বিধায়কদের বলেছেন, অনেক সময় গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য ‘দিল পর পাত্থর রাখনা পড়তা হ্যায়’। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, আপাতত বিধানসভার অধিবেশনের ওপরেই বিধায়কদের পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। অধিবেশন শুরু হচ্ছে ১৪ অগাস্ট। রবিবার অশোক গেহলোট সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর আশা বিদ্রোহী ১৯ জন বিধায়কের সংখ্যাগরিষ্ঠই ফের কংগ্রেসে ফিরে আসবেন। কারণ তাঁরা বুঝেছেন, মানুষ তাঁদের ওপরে অসন্তুষ্ট।
গত ১৩ জুলাই কংগ্রেস পরিষদীয় দল একটি প্রস্তাব পাশ করিয়ে বলে, দলের কোনও নেতা বা বিধায়ক যদি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে সম্ভবত আস্থাভোট চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০০ সদস্যের রাজস্থান বিধানসভায় গরিষ্ঠতা পেতে হলে চাই ১০১ টি আসন। কংগ্রেসের বিধায়কের সংখ্যা এর চেয়ে সামান্য বেশি। বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ৭২। এছাড়া কয়েকটি ছোট দল ও নির্দল বিধায়ক মিলিয়ে বিধানসভায় বিরোধীদের পক্ষে আছেন ৯৭ জন। এছাড়া আছেন ১৯ জন বিদ্রোহী বিধায়ক।