
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ময়দানে খেলোয়াড় জীবনে দু’বার জার্সি বদল করেছিলেন তিনি। ’৮১তে মোহনবাগান থেকে মহামেডান। এক মরসুম কাটিয়ে ফের ফিরেছিলেন সবুজ-মেরুন জার্সিতে। তারপর আবার ‘৮৪তে মহামেডান।
সেই মিডফিল্ডার তথা তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় কি এবার রাজনৈতিক জীবনেও জার্সি বদল করতে চলেছেন?
জল্পনা উস্কে দেওয়া নয়। বুধবার হাওড়ায় বিজেপির যোগদান মেলায় দলের যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এ ব্যাপারে খোলাখুলিই ঘোষণা করেন। মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষদের উপস্থিতিতে সৌমিত্র বলেন, “প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।”
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রসূনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “সবই জল্পনা। আমি তিনবারের তৃণমূলের সাংসদ। দিদির সঙ্গে ছিলাম। দিদির সঙ্গেই আছি এবং তাঁর সঙ্গেই থাকব।”
৫ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছেড়েছিলেন দলের জেলা সভাপতির পদও। যদিও লক্ষ্মী বিজেপিতে যাবেন বলেননি। তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সৌমিত্র বলেছেন, “একজন ক্রিকেটার আগেই চলে এসেছেন। এবার ফুটবলারও আসছেন।” অর্থাৎ আগে উকেট পড়েছে। এবার শাসকদলকে গোল হজম করতে হবে।
ময়দানের খোঁজ রাখা অনেকে বলছেন, ’৮১ সালে মোহনবাগান থেকে মহামেডানে প্রসূন কিন্তু একা যাননি। সঙ্গে মাঝ মাঠের দুই সতীর্থ বিদেশ, মানসকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল মাঝমাঠে প্রসূনের বিদেশ, মানস কে?
এমনিতেই হাওড়া নিয়ে হাওয়ায় অনেক কথা ভাসছে। লক্ষ্মীর ইস্তফা, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব সম্পর্ক তির্যক সব মন্তব্যের মধ্যেই যোগ হয়েছে হাওড়ার ছেলে তথা তৃণমূলের সুপারিশে সরকারি কমিটির পদ পাওয়া অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বক্তব্য। বৈশালী ডালমিয়া, জটু লাহিড়ীও দলের নেতৃত্ব, প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করেছেন। পরিস্থিতি যখন এমনই ঘোলাটে তখন হাওড়ায় দাঁড়িয়েই প্রসূনের নাম করে এদিন দলে আসার কথা বলে দিলেন সৌমিত্র।