ডেসকানসো গার্ডেন, সময় যেখানে থমকে গিয়েছে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টির মেট্রোপলিটন এলাকায় আছে ডেসকানসো গার্ডেন রোসারিয়াম। এটি হল ১৫০ একর জায়গা জুড়ে থাকা একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন। নিকটবর্তী শহর লা কানাডা ফ্লিন্ট্রিজ।পর্যটকেদের জন্য ডেসকানসো গার্ডেন রোসারিয়াম খোলা থাকে সারা বছর। দিন ও রাতের স্বপ্নিল সৌন্দর্য্যের জন্য পর্যটকদের কাছে বোটানিক্যাল গার্ডেনটির আকর্ষণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে ।
ডেসকানসো গার্ডেন রোসারিয়াম ঊনবিংশ শতাব্দীতে ছিল করপোরাল জোসে মারিয়া ভারডুগো পরিবারের সম্পত্তি। ১৯৩৭ সালে বাগানটির মালিকানা আসে দ্য লস অ্যাঞ্জেলস ইলাস্ট্রেটেড নিউজের মালিক ম্যাঞ্চেস্টার বডির কাছে। তিনি বাগানের ভেতরে বাইশ কক্ষের দোতলা একটি ম্যানসন তৈরি করেন। এরপর ১৯৪২ সালে প্রায় এক লক্ষ ক্যামেলিয়া গাছ লাগিয়েছিলেন। এরপর উদ্যান বিশেষজ্ঞ জে হাওয়ার্ড ও ডঃ ওয়াল্টার ল্যাম্যার্টের সাহায্যে প্রচুর গোলাপ আর লাইল্যাক গাছ লাগিয়েছিলেন ।
ম্যাঞ্চেস্টার বডি ১৯৫৩ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিকে বাগানটি বিক্রি করে সান দিয়াগো চলে গিয়েছিলেন। এর চার বছর পর স্থানীয় সেচ্ছাসেবকেরা গড়ে তোলেন, ডেসকানসো গার্ডেন গিল্ড ইনকরপোরেশন। সেই সংস্থা আজও পরিচালনা করেন অসামান্য সুন্দর এই উদ্যানটি। পর্যটকেরা টিকিট কেটে ঘুরে ঘুরে দেখেন অসংখ্য প্রাচীন গাছ, ক্যামেলিয়া গার্ডেন,, জাপানিজ গার্ডেন, লাইল্যাক গার্ডেন, নেচারস টেবিল, সেন্টার সার্কল, ওক ফরেস্ট, রোজ গার্ডেন, স্টুয়ার্ট হাগা গ্যালারি ও বডি হাউস। উদ্যানটির ভেতরে আজও দুরন্তগতিতে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ঝরনা। উদ্যানের গভীরে বাস করে বিভিন্ন প্রজাতির পেঁচা, বুনো বিড়াল, হরিণ। জলাশয়গুলিতে বাস করে রঙবেরঙের মাছ, বুনো হাঁস, কচ্ছপ, রাজহাঁস, নীলরঙা বক।









