
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগণা: প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রতিবাদ করেছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। আর সেই প্রতিবাদের দাম দিতে হল প্রাণের বিনিময়ে। বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ওই ছাত্রকে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুর থানার নিবাদুই স্কুল পাড়া এলাকায়। মৃত ছাত্রের নাম যুগল দাস। অভিযুক্ত প্রতিবেশী শম্ভু বাগ সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত শম্ভু বাগ প্রায়ই স্থানীয় নাবালকদের খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যেত। সেখানে নাবালকদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতো। মঙ্গলবার যুগল ও তার এক বন্ধুকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে ডাকে। অভিযোগ যুগলদের ওপরেও একই ভাবে যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে। তাতে যুগল ও তার বন্ধু বাধা দিলে শাসাতে থাকে শম্ভু। এরপর যুগলরা সেখান থেকে কোনরকমে বেরিয়ে পাড়ার অন্যান্যদের তাদের ওপর চালানো নির্যাতনের কথা জানায়। ফলে তবে সমস্ত কুর্কীতি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে আগে-ভাগেই প্রতিবেশীর বাড়িতে গা ঢাকা দেয় শম্ভু।
এরপরই যুগল ও তার অন্যান্য বন্ধুরা জানতে পারে, যে শম্ভু তার এক প্রতিবেশীর বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে। তাই পাড়ার অন্যান্য যুবকদের নিয়ে সেই বাড়িতে যায় যুগল ও তার বন্ধুরা। সেখানেই যুগলদের ওপর চড়াও হয় শম্ভুর প্রতিবেশীরা। যুগল ও তার বন্ধুদের বাঁশ পেটা করা হয়। বেধড়ক মারের সময় যুগলের মাথা বাঁশের আঘাত লাগে। এরপর আহত অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে যুগলকে ভর্তি করা হয়। সেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার অভিযোগ পুলিশে দায়ের করলে মূল অভিযুক্ত শম্ভু সহ চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যুগলের পরিবার ও প্রতিবেশীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।