
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শুক্রবারই অর্থনীতিতে করোনা অতিমহামারীর ধাক্কা এড়ানোর জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার পরেই উর্ধ্বমুখী হল শেয়ার বাজারের দুই সূচক সেনসেক্স ও নিফটি। এদিন সেনসেক্স উঠেছে ৩.২২ শতাংশ বা ৯৬৮ পয়েন্ট। তা পৌঁছেছে ৩১,৫৮৯-এর ঘরে। নিফটি উঠেছে ৩.০৫ শতাংশ বা ২৭৪ পয়েন্ট। তা পৌঁছেছে ৯২৬৭- এর ঘরে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত কোম্পানিগুলি লাভ করেছে মোট ৩ লক্ষ কোটি টাকা।
এদিন সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ব্যাঙ্কিং সেক্টর। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৩.৪৫ শতাংশ। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯.৮৯ শতাংশ।
ব্যাঙ্কের পরে লাভবান হয়েছে গাড়ি শিল্প। ইচার মোটর্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০.৪০ শতাংশ। টিভিএস মোটর্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯.০১ শতাংশ। এছাড়া এফএমসিজি ও বিভিন্ন হেলথকেয়ার প্রোডাক্ট উৎপাদনকারী কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে।
শুক্রবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তাঁদের দেশের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে কাজকর্ম শুরু হবে। এর পরেই এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারে সূচক উর্ধ্বমুখী হয়েছে।
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণায় বাজারে আরও ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ যোগানোর চেষ্টা হয়। ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে আরও বেশি ঋণ দেয় সে জন্য রিভার্স রেপো রেটও ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৩.৭৫ শতাংশ করা হয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলি এর ফলে উপকৃত হবে। একে তাদের জন্য প্যাকেজ বলে বিবেচনা করলে অবশ্য ভুল হবে। বরং বলা যেতে পারে, তাদের ব্যবসার খাতে অর্থের যোগানের যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক গুলি থেকে টাকা নেয় তাকে রিজার্ভ রেপো রেট বলা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই তা কমে গেলে ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কে টাকা না রেখে তা বাজারে ঋণ দেওয়ার কাছে ব্যবহার করবে। বাজারে সেই অর্থের যোগান বাড়লে ঘরোয়া অর্থনীতির চাকা এই সংকটের পরিস্থিতিতেও ঘোরানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যদিও সেই চাকা কী গতিতে ঘুরবে তা নিয়ে সংশয়ের মেঘ রয়েছে। বিশ্ব অর্থ ভাণ্ডার জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে বৃদ্ধির হার টেনেটুনে হতে পারে ১.৯ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস শুক্রবার বলেন, এই নেতিবাচক পরিস্থিতি সত্ত্বেও আশার কথা হল, জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে হাতে গোনা যে কটি দেশ বৃদ্ধির পথে থাকার আশা রয়েছে তার মধ্যে ভারত অন্যতম।