
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বৃহস্পতিবার সকালে বাজার খোলার পরেই ধস নামে শেয়ার বাজারে। দুপুর অবধি শেয়ার সূচকের নিম্নগতি অব্যাহত থাকে। এদিন বেলা দু’টো বেজে পাঁচ মিনিটে সেনসেক্স ১০০৭ পয়েন্ট নেমে ৩৬,৬৬০- এর ঘরে পৌঁছায়। অন্যদিকে নিফটিও ২৬৫ পয়েন্ট নেমে পৌঁছায় ১০,৮৬৭-র ঘরে।
গত ৪ অগাস্টের পরে এই প্রথম নিফটি ১১ হাজারের নীচে নামল। বুধবার আমেরিকার শেয়ার বাজারে ধস নামে। একইসঙ্গে শোনা যায়, কোভিড অতিমহামারীর জেরে মার্কিন অর্থনীতির হাল যতদূর খারাপ হবে ভাবা হচ্ছিল, বাস্তবে তার চেয়েও খারাপ হতে চলেছে। এই দুই কারণে এদিন ভারতের বাজারেও সূচক নিম্নমুখী হয়।
আগামী দিনে শেয়ার সূচক আরও নীচে নামতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। কারণ ইউরোপের কয়েকটি শহরে নতুন করে ছড়াচ্ছে কোভিড সংক্রমণ। এর ফলে সেখানে নতুন করে লকডাউন হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন পশ্চিমী দেশের অর্থনীতির হাল এমনিতেই ভাল নয়। এর ফলে আমাদের দেশে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খেয়েছে।
আইআইএফএল সিকিউরিটিজের গবেষণা শাখার প্রধান অভিমন্যু সোফাত বলেন, “আগামী দিনে শেয়ার বাজার আরও পড়তে পারে। স্কটল্যান্ড ও ব্রিটেন ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তারা লকডাউন করার কথা ভাবছে। আরও কয়েকটি দেশ লকডাউন করতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা নার্ভাস হয়ে পড়েছেন।”
সেনসেক্সে নথিভুক্ত ৩০ টি শেয়ারের মধ্যে দু’টির এদিন সামান্য দাম বেড়েছে। তারা হল এইচইউএল এবং নেসলে ইন্ডিয়া। অন্যদিকে এম অ্যান্ড এমের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তার শেয়ারের দাম কমেছে ৬.০১ শতাংশ। টিসিএস, বাজাজ ফিনান্স, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, টাটা স্টিল ও টেক মাহিন্দ্রার শেয়ারের দাম কমেছে তিন থেকে ছয় শতাংশ।
গত দু’দিনে ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের শেয়ার বাজারেও ধস নেমেছে। বুধবার ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজের পতন হয়েছে ১.৯২ শতাংশ, এস অ্যা ন্ড পি ফাইভ হান্ড্রেডের পতন হয়েছে ২.৩৭ শতাংশ এবং নাসদাকের পতন হয়েছে ৩.০২ শতাংশ।
চিনে ব্লু চিপ শেয়ারগুলির পতন হয়েছে ১.০৯ শতাংশ। হংকং-এর হ্যাংসেং-এর পতন হয়েছে ১.৭২ শতাংশ। সিওলের সূচক কোসপির পতন হয়েছে ১.৭৩ শতাংশ। জাপানের নিক্কির পতন হয়েছে ০.৭৪ শতাংশ।
সেপ্টেম্বরে আমেরিকার অর্থনীতির বিকাশ হয়ে পড়েছে ধীর। শিল্পোৎপাদনে কিছু গতি এসেছে বটে কিন্তু পরিষেবা ক্ষেত্রের অবস্থা হয়ে পড়েছে শোচনীয়। এই সপ্তাহের শেষে সরকারি তথ্যে জানা যাবে, দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে কিনা।