
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কয়লা পাচারের তদন্তে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে সিবিআই। তল্লাশি চলছে জেলায় জেলায়। একদিকে যখন কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি অভিযান চালাচ্ছে তখন সিবিআইকে এনডিএ-র নতুন শরিক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
এদিন তৃণমূল ভবনের সংবাদিক বৈঠকে সিবিআই তল্লাশি নিয়ে শ্যামপুকুরের বিধায়ক শশী পাঁজাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এনডিএ থেকে একের পর এক দল বেরিয়ে যাচ্ছে। শিবসেনা, আকালি দল বেরিয়ে গেছ। এখন এনডিএ-র শরিক হয়েছে সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স।”
রাজনৈতিক ভাবে সিবিআইকে ব্যবহার করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন নয়। এদিন আরও একবার সেই অভিযোগ তুললেন শশী।
এদিন ইসিএলের চার ম্যানেজারের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। দুর্গাপুরের একাধিক জায়গাতেও হাজিরা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্ত এজেন্সি। লালার সহযোগী হিসেবে পরিচিত এমন অন্তত ১০-১২ জনের বাড়ি থেকেও তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্ত এজেন্সির গোয়েন্দারা। সল্টলেক, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গাতেও তদন্তে নেমেছে সিবিআই।
নভেম্বরের শুরুতে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় এসেছিলেন সেই সময়েই আসানসোল, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় কয়লা পাচারের তদন্তে জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইনকাম ট্যাক্স। সেই অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “কী প্ল্যানিং, বাপরে বাপ!”
পাল্টা অমিত শাহ বলেছিলেন, “কয়লা বিক্রির টাকার অংশ তো রাজ্য সরকারের কোষাগারেও আসে। চোর ধরলে মমতা দিদির এত রাগ হচ্ছে কেন?” তার কয়েক দিন পরেই জানা যায়, আয়কর বিভাগের কাছ থেকে তদন্ত ভার নিয়ে নেয় সিবিআই। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের ডাকা হয় দিল্লিতে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে কয়লা নিয়ে যে কোটি কোটি টাকার কারবার হয়েছে তার শিকড় অনেক গভীরে। পূর্ব এশিয়ার একটি দেশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও টাকা গিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।