
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একুশের ভোটে লড়তে চান তিনি। তবে আর মঙ্গলকোট থেকে নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা জমিয়েত-উলেমা-হিন্দ নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
তিনি বলেন, “মঙ্গলকোটের মাটি উত্তপ্ত করা হচ্ছে। বীরভূম থেকে গরম খাওয়ানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি মঙ্গলকোট থেকে বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না।” নাম না করলেও মন্ত্রীর নিশানা যে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না।
তবে বর্ধমান জেলার ভুমিপুত্র হিসাবে এই পূর্ব বর্ধমানের কোনও কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, সেই কথাও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পূর্ব বর্ধমান সার্কিট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিধায়ক তহবিল থেকে চারটি চুল্লি তৈরির পরিকল্পনা তিনি করেছিলেন। কিন্তু দলেরই কিছু ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেই কাজ করতে দেয়নি।
বীরভূম জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম এবং আউশগ্রামের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রত। এমনিতেই অনুব্রত-বনাম সিদ্দিকুল্লা লড়াই অনেক পুরনো। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, মঙ্গলকোটে প্রার্থী করা হলে অন্তর্ঘাত হতে পারে।
সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য নিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কিছু বলতে অস্বীকার করেন।