
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ‘জি বাংলা সা রে গা মা পা’-র বিজেতা গায়ক দুর্নিবার সাহা এবং তাঁর প্রেমিকা মীনাক্ষি মুখার্জী। এর আগে ২০১৭ সালে রেজিস্ট্রি করে আইনি বিয়ে করেন তাঁরা, আর তারপর থেকে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন দুর্নিবার ও মীনাক্ষি।
তিন বছর একসঙ্গে থাকার পর ফেব্রুয়ারির ২১শের সন্ধ্যায় সামাজিকভাবে অনুষ্ঠান করে, মালাবদল ও সিঁদুরদান এবং মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে বিয়ে হল দুর্নিবার ও মীনাক্ষির। নিউটাউনের ‘স্বপ্নভোর’ রিসর্টে করোনা বিধিনিষেধ মেনে হল বিয়ের অনুষ্ঠান। দুর্নিবার-মীনাক্ষির বিয়ের আসরে বসে তারার মেলা। গোটা টলিউডে শুভেচ্ছা জানায় নবদম্পতিকে।
২০ ফেব্রুয়ারি হয় দুর্নিবার-মীনাক্ষির আইবুড়োভাত, সঙ্গীত ও মেহেন্দির অনুষ্ঠান। ২১ ফেব্রুয়ারি বিয়ের অনুষ্ঠানে দুর্নিবার ও মীনাক্ষি সেজেছিলেন বাঙালি সাজে। মীনাক্ষীর পরনে ছিল লাল রঙের জারদৌসি বেনারসী এবং দুর্নিবার পরেছিলেন অফহোয়াইট রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা রঙের ধুতি।
প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও বন্ধুত্ব টিকে থাকে, অথবা পারস্পরিক সৌজন্যটুকু তো বজায় রাখাই যায়। সেই কথাটা প্রমাণ করে দিলেন ইমন-শোভন। রবিবার সাত পাকে বাঁধা পড়ল তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দুর্নিবার সাহা। আর দুর্নিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা মিলল ইমন-শোভনের। কাকতালীয়ভাবে চলতি মাসেই সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন ইমন। আর দুদিন আগেই প্রেম সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছেন স্বস্তিকা-শোভন। দুর্নিবার-মীনাক্ষির বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন জীবনসঙ্গীকে নিয়েই পৌঁছেছিলেন প্রাক্তন জুটি। নীলাঞ্জনের সঙ্গে দেখা মিলল ইমনের, আর স্বস্তিকার হাত ধরে শোভন।
এদিন নবদম্পতির সঙ্গে পোজ দিয়ে চুটিয়ে ছবি তুললেন স্বস্তিকা-শোভন। বন্ধুদের সঙ্গেও চলল ফটো সেশন পর্ব। গ্রুপ ছবিতেও একসঙ্গে কোনওভাবেই ধরা দেননি ইমন-শোভন। বলা ভাল, সৌজন্যবোধের খামতি না থাকলেও দূরত্ব বজায় ছিল ষোলয়ানা।
পাঁচ বছর আগে ‘সা রে গা মা পা’-র প্রতিযোগী দুর্নিবারের জন্য মহিলারা একটি আলাদা ফ্যানবেস তৈরী করে ফেলেছিলেন। কিন্তু মীনাক্ষি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্নিবারকে খুঁজে বের করে ফ্রেন্ডস রিকোয়েস্ট পাঠান। সেই বন্ধুত্ব দুই বছরের মাথায় পরিণত হয় প্রেমে, পাই আইনি স্বীকৃতি। আর ২০২১-এর ফাগুনে সেই আইনি বিয়ের গাঁটছড়াকে আরও শক্ত করে বাঁধলেন নবদম্পতি।