
গার্সিয়ার দুরন্ত ফ্রিকিকে এগিয়ে গিয়েও গোল ধরে রাখতে ব্যর্থ এটিকে-মোহনবাগান
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টানটান ম্যাচ, রুদ্ধশ্বাস লড়াই। শেষ ২০ মিনিট বন্যার জলের মতো আক্রমণ করে গিয়েছে দুটি দলই। একবার এটিকে-মোহনবাগান আক্রমণ করেছে, আরও একবার গোয়া এফসি বিপক্ষ শিবিরে হানা দিয়েছে বারবার। আক্রমণ ও পালটা আক্রমণের ফসল ম্যাচের ফলও, খেলা শেষ হল ১-১।
ম্যাচের প্রথম গোল ৭৪ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে ফ্রিকিক পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। সামনের মানব প্রাচীরকে দাঁড় করিয়ে রেখে গোলার মতো শটে তাদের এগিয়ে দিলেন এডু গার্সিয়া। অনবদ্য গোল। বিপক্ষ গোলকিপার নওয়াজ নড়ার সুযোগ পাননি।

লড়াই চলছিল মাঝমাঠেই। তবে গোয়ার আক্রমণের হার বিরতির পরে কিছুটা কমে গিয়েছিল। সেইসময় মোহনবাগানকে বরং ভাল লেগেছে। কিন্তু এটিকে মোহনবাগান দল এগিয়ে যাওয়ার দশ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরানোর গোল করেছে এফসি গোয়ার পক্ষে ঈশান পন্ডিতা।
সবুজ মেরুন বক্সে সেইসময় ছিলেন দুই কোটি টাকার ডিফেন্ডার সন্দেশ জিঙ্ঘান। বড় চেহারার ফুটবলার হলেই তিনি দুর্ভেদ্য হবেন, এমন কোনও কথা নেই। সন্দেশ এত অভিজ্ঞ কিন্তু বক্সের কোথায় দাঁড়ালে তিনি বিপক্ষ শক্তিকে রুখতে পারবেন, প্রায়ই বোঝেন না। গোলটিও সেই কারণে হজম করতে হয়েছে।
দুই দলই একের পর কাউন্টার অ্যাটাক করে গিয়েছে। কিন্তু সুযোগ তৈরি করার ক্ষোত্রে এগিয়ে ছিল গোয়া দলই। তারা অজস্র পাস খেলে হাবাসের দলের ডিফেন্স ভাঙতে মরিয়া ছিল। সেই কারণেই হাবাস এদিনও রক্ষণাত্মক ফুটবলেই জোর দিয়েছেন বেশি।
গোয়ার দুই উইংয়ে লেনি রদরিগেজ এবং ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ দুরন্ত খেলেছেন। সেইজন্যই তিরি, সন্দেশদের সারাক্ষণই তটস্থ থাকতে হয়েছে।
যদিও মোহনবাগান ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারত প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যেই। এডু গার্সিয়ার কর্নার থেকে শুভাশিস বসুর হেড বারে লেগে ফিরে আসে। অল্পের জন্য এগিয়ে যেতে পারল না এটিকে মোহনবাগান। যদিও ম্যাচে দেখা গিয়েছে গোয়া এফসি খেলার জন্য অনেকটা জমি পেয়েছিল। তারা প্রথমার্ধেই মোট ৩২৩টি পাস খেলেছে, সেখানে হাবাসের দল খেলেছে ১৭৪টি।
আইএসএলের শীর্ষে ওঠার দৌড় থমকে গেল খেলা শেষে। এটিকে মোহনবাগানের ১১ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ২১, আর তৃতীয় স্থানে থাকা এফসি গোয়া একটি ম্যাচ বেশি খেলে থাকল ১৯ পয়েন্টে। শীর্ষে মুম্বই সিটি এফসি। চোট সারিয়ে এই ম্যাচে ফিরেছিলেন কার্ল ম্যাকহুগ। পাশাপাশি দলে আরও দুটি পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ হাবাস। মাঝমাঠে শেখ সাহিল এবং প্রবীর দাস ফিরেছেন।
কোচের অবশ্য চিন্তা থেকে গেল রয় কৃষ্ণের ফর্ম, তিনি শেষ ছয় ম্যাচে গোল পাননি। এটাই দলের পক্ষে চিন্তার। তিনি গোল না পেলে দলও জিততে পারছে না। গার্সিয়ার ফ্রিকিক গোলটি অনবদ্য সন্দেহ নেই, কিন্তু কৃষ্ণের বাঁশি না বাজলে এটিকে মোহনবাগানের দুঃখ থাকছেই।