
গ্রিনের ঝোড়ো ইনিংসে ৩০০ পার অজিদের, সিডনিতে বিশাল টার্গেট ভারতের সামনে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিরিজে এই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অস্ট্রেলিয়ার মতো হল। দুই ইনিংসেই ৩০০-র উপর রান তুলল অস্ট্রেলিয়া। শুধু তাই নয় রীতিমতো দাপটের সঙ্গে রান করল তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করলে মার্নাশ লাবুশানে, স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন গ্রিন। তার মধ্যে শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেললেন গ্রিন। তার ফলে ভারতের সামনে ৪০৭ রানের বিশাল টার্গেট দিল অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় দিন যেখানে শেষ করেছিলেন লাবুশানে ও স্মিথ, ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন চতুর্থ দিন। দুই ব্যাটসম্যানকে এভাবে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অবশ্য খানিক দায়ী ভারতের ফিল্ডিংও। দিনের দ্বিতীয় বলেই লেগ স্লিপে লাবুশানের ক্যাচ ছাড়েন বিহারি। ওই ক্যাচ তিনি তালুবন্দি করতে পারলে ম্যাচের ছবিটা হয়তো বদলেই যেত। কিন্তু জীবনদান পাওয়ার পরে সেটাকে কাজ লাগালেন লাবুশানে। পরপর দুই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি।
দেখে মনে হচ্ছিল এই ইনিংসে হয়তো সেঞ্চুরিও করে ফেলবেন লাবুশানে। কিন্তু নবদীপ সাইনির বলে ক্যাচ ধরে ৭৩ রানের মাথায় তাঁকে প্যাভিলিয়নে পাঠান ঋদ্ধিমান সাহা। ৪ রানের মাথায় ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচও ধরেন তিনি। বোলার সেই নবদীপ।
কম ব্যবধানে দু’উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে অবশ্য স্মিথের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন ক্যামেরন গ্রিন। লাঞ্চের বিরতি পর্যন্ত আর উইকেট পড়েনি। নিজের হাফসেঞ্চুরি করেন স্মিথ। দেখে মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি হাঁকাবেন তিনি। কিন্তু ৮১ রানের মাথায় তাঁকে আউট করেন অশ্বিন।
স্মিথ আউট হওয়ার পরে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন গ্রিন। তাঁকে সঙ্গ দেন অজি অধিনায়ক পেইন। তাঁরও ক্যাচ মিস হয়। এই দু’জন ব্যাট করার সময় রানের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। বেশ কিছু বড় শট খেলেন গ্রিন। এদিন তিনি নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি করলেন। দেখে মনে হচ্ছিল এদিনই নিজের প্রথম সেঞ্চুরিও পাবেন তিনি। কিন্তু ৮৪ রানের মাথায় বুমরাহর বলে গ্রিন আউট হন। তারপরেই ডিক্লেয়ার করে দেন পেইন। তিনি ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
৬ উইকেটে ৩১২ রানে ডিক্লেয়ার করে অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ জয়ের জন্য ৪০৭ রানের টার্গেট ভারতের সামনে। এখনও অন্তত ১৩৮ ওভারের খেলা বাকি। চারটে সেশন অজি বোলিংকে সামলাতে হবে রোহিতদের। এখন দেখার চতুর্থ দিনের শেষটা ভারত কেমন করে।