
রেকর্ড টিভি দর্শক, আইপিএল করে চার হাজার কোটি টাকা লাভ বোর্ডের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রথমে ভাবা গিয়েছিল আইপিএল চলতি বছরে করাই যাবে না। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা আলোচনা করেন আরব আমিরশাহী ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে। তারা প্রথমে শুনেই রাজি হয়ে যায়।
আইপিএল মানেই সোনার হাঁস, ঠিক মতো ধরতে পারলেই সেই লাভ আকাশ স্পর্শ করবে। ঘটনাচক্রে তাই হয়েছে। গ্যালারি ফাঁকা, দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম, তবুও দেখা গিয়েছে চার হাজার কোটি টাকা আয় করেছে বিসিসিআই। বিনিময়ে আরব ক্রিকেট সংস্থাকে দিতে হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
মোট ৫৩ দিনের টুর্নামেন্টটি যত সহজে পার হয়েছে, অতটা সহজ ছিল না। কারণ ক্রিকেটারদের রাখতে হয়েছিল বায়ো বাবল সিস্টেমের মধ্যে। তার জন্য পুরো ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হয়েছে। একেকজন ক্রিকেটারের মোট ২০ বার করে কোভিড টেস্ট হয়েছে।
এছাড়া গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলা আইপিএলের এবারের আসরে টিভিতে দর্শক বেড়েছে ২৫ শতাংশ। বিশেষ করে ১৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই ইন্ডিয়ানস ও চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচে টিভি দর্শকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে আগের সব রেকর্ডকে।

বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল জানিয়েছেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল করা সহজ ছিল না। আমরা দিনের পর দিন পড়ে থেকে পুরো ব্যবস্থাপনা দেখেছি। মাঠে হয়তো দর্শক হয়নি, কিন্তু এবার টিভিতে যত মানুষ খেলা দেখেছে, আগে কোনওবারই হয়নি। ঘরে বসে আইপিএলে উপভোগ করেছে, এটাই বড় বিষয়।’’
দেশের নামী এক ইংরাজি দৈনিককে তিনি বলেছেন, ‘‘গত আইপিএলের তুলনায় এবার ৩৫ শতাংশ খরচ কমাতে পেরেছে বোর্ড। এই মহামারির সময়েও আমরা ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করেছি। টিভির দর্শকের হার ২৫ শতাংশ বেড়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচে আগের যে কোনও আসরের চেয়ে বেশি দর্শক পাওয়া গেছে।’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে যারা আমাদের প্রতি সংশয় প্রকাশ করেছিল, তারাই এসে ধন্যবাদ জানিয়ে গিয়েছে। আইপিএল যদি না হতো, ক্রিকেটাররা একটা বছর হারিয়ে ফেলত। আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হতো।’’
আইপিএলে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলেই ছিল চল্লিশের বেশি সদস্য। এর মধ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে আবার ছিল ১৫০ জনের বেশি সদস্য। এত মানুষকে একসঙ্গে রাখায় ছিল করোনাভাইরাসের ঝুঁকি। তবে জরুরি পরিস্থিতির জন্য সবধরনের ব্যবস্থাই রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ।
তিনি বলেছেন, ‘‘আইপিএলে যদি কোনও কোভিড পজিটিভ কেস পাওয়া যেত, তা হলে তার জন্য আমরা মোট ২০০টি ঘর রেখেছিলাম, কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনি। কারণ কোয়ারেন্টিনে থাকতে গেলে ওইরকম ব্যবস্থাই প্রয়োজন।’’