
আইপিএলে আমেদাবাদ নিশ্চিত, বাকি ফ্রাঞ্চাইজি কোনটি, ঠিক হবে বোর্ডের সভায় বছরের শেষেই
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইপিএলের অভাবনীয় সাফল্যে উদ্ভাসিত হয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আরও দল বাড়াতে চলেছে চতুর্দশ আসরে। চলতি বছরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে টুর্নামেন্ট অক্টোবরে হলেও সামনের বার মে-জুন মাসেই হবে। এমনকি বোর্ড কর্তারা ভেবে রেখেছেন, যদি একান্তই ভারতে না করা যায়, সেক্ষেত্রে কোটিপতি লিগ ফের হতে পারে আরবেই।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা রয়েছে। ওই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দেশের ক্রিকেটমহল। কেননা ওই সভায় ঠিক হবে আইপিএলে মোট কতগুলি দল খেলবে, কোন দলগুলিকে যুক্ত করা হবে পরের আসরের জন্য। এমনকি ওই সভায় চূড়ান্ত হবে ভারতীয় দল কী টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেবে?
জাতীয় দলের তিন নির্বাচকের মেয়াদকাল শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই হিসেবে তিন নির্বাচকের নাম ঘোষণা হতে পারে ওই বৈঠকে। ইতিমধ্যেই নির্বাচক চেয়ে বিসিসিআই বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল। বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার মোটা বেতনের নির্বাচকের চাকরি করতে মুখিয়ে রয়েছেন।
যদিও আইপিএলে কোন দুটি দল নতুন হবে, সেই নিয়ে কৌতহূলের শেষ নেই। মনে করা হচ্ছে, নতুন দু’টি ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে আমেদাবাদের দল পাওয়া প্রায় নিশ্চিত৷ আদানি গ্রুপের হাত ধরে আসতে পারে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি৷ কারণ তারা ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে৷ অপর ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য লড়াই হতে পারে কানপুর, লখনউ ও পুণের মধ্যে৷ দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইটির জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে আরপিজি প্রধান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা৷ এর আগে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের মালিক ছিলেন তিনি৷

আরও একটি বিষয় মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে, বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব পদে জয় শাহ কতদিন আর দায়িত্ব পালন করবেন। কারণ বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন চলছে। যেহেতু এই পরিস্থিতিতে কোর্ট তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে বলছেন, তার মানে এই নয় যে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। কেননা বোর্ডের নির্বাচন হলে সেইসময় নতুন করে সব প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেটি আগেই জানানো হয়েছিল।