
একই ব্যবধানে জয়, সহজে বিপক্ষকে কাবু করল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লাতিন আমেরিকার মহাশক্তিধর দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুটি দলই জিতল দুই গোলের ব্যবধানে। বিশ্বকাপ যোগ্যতাপর্বের ম্যাচে ব্রাজিল ২-০ গোলে হারিয়েছে উরুগুয়েকে, আর মেসিরা জিতলেন ওই একই ব্যবধানে পেরুর বিপক্ষে।
আর্জেন্টিনার থেকে বলের দখলের দিক থেকে এগিয়ে ছিল পেরু। কিন্তু খেলার প্রথম ২৮ মিনিটের মধ্যেই মেসিদের দলের ঝড়ে কাবু বিপক্ষ।
এস্তাদিও ন্যাশনাল ডি লিমা স্টেডিয়ামে লাতিন আমেরিকা গ্রুপের ম্যাচে জিতে আর্জেন্টিনা চার ম্যাচে তিন জয়, ১টি ড্র করে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিলের পরের স্থানেই রয়েছে।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটেই এগিয়ে যায় মেসির দল। জিওভানি লো সেলসোর বক্সের বাঁ-প্রান্ত থেকে পাওয়া পাস থেকে চোখের পলকে পেরুর দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান নিকোলাস গঞ্জালেস। এগিয়ে গিয়ে আরও ভবঙ্কর হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। ২৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটিও পেয়ে যায় লিওনেল স্কালোনির ছেলেরা।
এবার লিওনার্দো পেরেসের থ্রো ধরে একাই ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন লোতেরো মার্টিনেজ। সামনে আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটিয়ে দারুণ এক গোল করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধে মেসি বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পাননি। দ্বিতীয়ার্ধেও তাঁর আক্রমণগুলো রুখে দেয় পেরু রক্ষণ।
অন্য ম্যাচে, গত তিনটি ম্যাচে জিতেছিল ব্রাজিল। ওই দলগুলি ছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল, কিন্তু উরুগুয়ের মাঠে তাদের এত দাপটে জয় পাবে তারা, ভাবা যায়নি। কিন্তু সেটাই হয়েছে ২-০ গোলে জয়ে।
দুটি দলের সমস্যা ছিল চোট ও করোনা। তার কারণে বহু সেরা তারকা মাঠে নামতে পারেননি, তারপরেও ব্রাজিল কোচ তিতে জিতে গিয়েও নির্লিপ্ত। ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুই গোল করেন আর্থুর মেলো ও রিচার্লিসন। ছিলেন না নেইমার, সুয়ারেজের কেউই।
উরুগুয়ের সারা ম্যাচে একটি শট ছাড়া বলার মতো কিছুই নেই। ম্যাচের পাঁচ মিনিটের প্রথম সুযোগ অবশ্য তৈরি করেছিল ঘরের দলই। ডি-বক্সের বাঁ পাশ দিয়ে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়েই শট নিয়েছিলেন ডারউইন নুনেজ। কিন্তু সেটি প্রতিহত হয় পোস্টে লেগে। এর মিনিট দুয়েক পর ২৫ গজ দূর থেকে ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। যেটি কাজে লাগাতে পারেননি ডগলাস লুইজ।
ব্রাজিলকে প্রথম গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। ডান প্রান্ত থেকে ক্রস বাড়িয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ডি-বক্সের ভেতরে ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেনি উরুগুয়ে। ফলে ফাঁকায় পেয়ে যান মিডফিল্ডার আর্থুর মেলো। এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান।
গোল হজম করে ম্যাচে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে পড়ে উরুগুয়ে। সেটি করতে গিয়ে প্রতি আক্রমণে বিরতির আগে দ্বিতীয় গোল হজম করে তারা। ডি-বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি-কিক থেকে বল পান রেনান লোদি। তাঁর বাড়ানো ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান বাড়ান রিচার্লিসন। তাঁকে অবৈধভাবে ধাক্কা দিতে গিয়েই কাভানিকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি।