
ফের পয়েন্ট খোয়াল ভিকুনার দল, দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ওড়িশার
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইএসএলে রবিবার দুটি ম্যাচেই কোনও ফয়সালা হল না। নির্বিষ ম্যাচ অবশ্য বলা যাবে না। কারণ গোয়ার তিলক ময়দান চাক্ষুস সাক্ষি থেকেছে এক দুরন্ত লড়াই ও প্রত্যাবর্তনের।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেছিল এফসি গোয়া, সেই ম্যাচের স্মৃতি টাটকাই। এদিনও ভালস্কিসের জোড়া গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল ওড়িশা এফসি। কিন্তু সুপার-সাব দিয়েগো মৌরিসিওর জোড়া গোলে জামশেদপুরের থেকে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে ওড়িশা এফসি।
রাতের ম্যাচে আবার চেন্নাইয়ান ও কেরালা ব্লাস্টার্সের খেলা গোলশূন্য ভাবে শেষ হল। গোয়ার ব্যাম্বোলিমে চেন্নাইয়িন ও কেরলের ম্যাচ চিহ্নিত হচ্ছিল দক্ষিণের ডার্বি হিসেবে। শুরুতে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল চেন্নাইয়ানকে। কিন্তু কিবু ভিকুনার দল প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তবে কোনও দল কোনও গোল করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৪ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল চেন্নাইয়ান। কিন্তু সিলভেস্ত্রের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন কেরল গোলরক্ষক আলবিনো গোমেজ। তিনিই ম্যাচের সেরা হন। ড্রয়ের ফলে ৩ ম্যাচে কেরলের হল ২ পয়েন্ট। ভিকুনার দল জয়ের মুখ দেখেনি এখনও।
স্পটকিক থেকে গোল করে জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন গত মরশুমের সর্বাধিক গোলস্কোরার। গোল খেয়ে পালটা আক্রমণ শানালেও জামশেদপুর রক্ষণের লকগেট ভাঙার খুব কাছাকাছি তারা পৌঁছতে পারেননি। উলটে ২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে টাটার দলটি। বিপক্ষ ডিফেন্ডার শুভম সারাঙ্গির ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন লিথুয়ানিয়ার স্ট্রাইকার। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জামশেদপুর।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি তাগিদ লক্ষ্য করা যায় ওড়িশার মধ্যে। শুরু থেকেই বারবার আক্রমণে জামশেদপুর রক্ষণকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে তারা। মাইকেল ওনয়ু একটি ক্ষেত্রে গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁর অ্যাক্রোব্যাটিক একটি ভলি রক্ষা করেন টিপি রেহনেশ। এর কিছু সময় পরেই ওনয়ুকে তুলে দিয়েগো মৌরিসিওকে মাঠে নামান কোচ। ফল মেলে ৭৭ মিনিটে। জামশেদপুর গোলরক্ষক টিপি রেহনেশ বক্সের বাইরে এসে হাত দিয়ে বল আটকানোর চেষ্টা করলে লাল কার্ড দেখানো হয় তাঁকে এবং বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় ওড়িশা।
ফ্রি-কিক থেকে মৌরিসিওর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলেও ফিরতি বল বক্সে ক্রস রাখেন সারাঙ্গি। সারাঙ্গির ক্রস থেকে মৌরিসিওর সাইডভলি স্টিফেন এজে আটকে দিলে ফিরতি বল ফের ক্রস রাখেন জ্যাকব ট্র্যাট। সেই ক্রস থেকে ব্যবধান কমান মৌরিসিও।
ইনজরি টাইমে ওড়িশা বিপক্ষ রক্ষণকে ক্রমাগত চাপে রাখার ফল পায় তারা। বক্সের মধ্যে ড্যানিয়ল লালহিমপুঁইয়ার পাস ধরে দর্শনীয় কার্লিং শটে স্কোরলাইন ২-২ করেন মৌরিসিও।