
ধোনিকে ‘গব্বর’, ওয়াটসনকে ’ডিজেল ইঞ্জিন’ বললেন সেহওয়াগ
দ্য ওয়াল ব্যুরো : আইপিএল তখনও শুরু হয়নি। সেইসময় দুবাইয়ের এক হোটেলে ব্রেকফাস্ট টেবিলে একসঙ্গে বসেছিলেন এম এস ধোনি ও শ্যেন ওয়াটসন। সেদিনই বিসিসিআই টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াটসন জানিয়েছিলেন, ‘‘আমার পুরনো ছন্দটা খোঁজার চেষ্টা করছি, একটু হয়তো সেই ফর্মে মরচে পড়েছে, একটু ঘষামাজা করে নিলে আবার সব চকচক করবে।’’
রবিবার দুবাইয়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে বোঝা গেল ওয়াটসনের ব্যাটে সেই মরচে উঠে ফের চকচকই করছে। ২০১৮ সাল থেকে এই অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার চেন্নাই সংসারে রয়েছেন। সেবার ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১১৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন।
এবার তাঁর ব্যাট ঝলসে উঠল। একটা সময় টানা ব্যর্থতায় তাঁকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু ধোনির খুব কাছের তিনি। এমনকি সবাই জানতেন, ওয়াটসন একবার ফর্মে ফিরলে সেই ছন্দ সহজে হারায় না। তাই অপেক্ষা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ফাফ ডু প্লেসির সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ১৮১ রানের জুটি গড়ে ওয়াটসন বুঝিয়ে দিলেন ‘ওল্ড ইস গোল্ড’। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩ বলে ৮৩ রান, ওরকম বিধ্বংসী ইনিংস দেখে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ তাঁকে ‘ডিজেল ইঞ্জিন’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। বীরুর কথায়, যেভাবে ফাফের সঙ্গে ওয়াটসন ইনিংসকে টেনেছেন, মনে হয়েছে ডিজেল গাড়ি অনায়াসে রাস্তার পর রাস্তা অতিক্রম করছে।
ওয়াটসন অবশ্য ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘‘আমার প্রতি অশেষ ধৈর্য্য রাখার জন্য আমার ক্যাপ্টেন এম এস (ধোনি) ও কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তাঁদের জন্য আমার ভাল লাগছে। কঠিন পরিস্থিতিতে আমার পাশে থেকেছেন ওরা।’’ এমনকি ফাফের সঙ্গে খেলার সময় ইনিংস একেবারে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনাই তাঁরা করেছিলেন, সেই কথাও বলেছেন ৩৯ বছরের তারকা।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওয়াটসন যখন ফর্মে চলে এসেছে, তা হলে চেন্নাই দলের জয়যাত্রাও শুরু হয়ে গেল। সেই প্রসঙ্গে সদা সতর্ক এই নামী অলরাউন্ডার। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আইপিএল বড় টুর্নামেন্ট, এই টুর্নামেন্টে নিজেকে ধারাবাহিক রাখাও বড় চ্যালেঞ্জ।’’
অন্যদিকে, এম এস ধোনির অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশংসার বাতাবরণ। কেননা ১৮তম ওভারে শার্দুলকে এনে বোলিং করানো, আর জাদেজাকে এমন ফিল্ড প্লেসিংয়ে রেখেছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়ে বহু সেভ করেছেন তিনি। সেহওয়াগ জানিয়েছেন, গব্বর ধোনি যেভাবে ১৮তম ওভারে শার্দুলকে আনল, ওখানেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজটি সেরেছে চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার।