
ফাউলারে এখনও ভরসা রাখছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি আসার পর থেকে যে আকাশচুম্বি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেটাই এক লহমায় শেষ লাল হলুদ সমর্থকদের। রবি ফাউলারের মতো হেভিওয়েট ফুটবল ব্যক্তিত্ব দলের কোচ হয়ে আসার পরে মনে করা হয়, ইস্টবেঙ্গল দলের জয়ের দৌড় শুরু হবে। তারা খেলবে চ্যাম্পিয়নের মতোই। কিন্তু টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেই দলের খেলায় কোনও ছন্দ দেখা যাচ্ছে না। সবটাই ভুলে ভরা।
এর কারণ কী? এই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই নানা কারণ তুলে আনছেন। এক, এই লাল হলুদ দলের রক্ষণভাগ অত্যন্ত কমজোরি। সুচন্দ্র সিং, ইরশারদের মতো অনভিজ্ঞদের দিয়ে বড় মঞ্চে বাজিমাত করা সহজ নয়। দ্বিতীয়ত, দলের মাঝমাঠে সেই তালমিল আসেনি। তৃতীয় কারণ, কোচ দলের প্রথম একাদশ গড়তে হিমশিম খাচ্ছেন। চার নম্বর কারণ, দলের বিদেশীরা কেউই ছন্দে নেই, একমাত্র মাঘোমা কিছুটা চেষ্টা করছেন।
বাইচুং ভুটিয়ার মতো মহাতারকাও জানিয়েছেন, ‘‘কোচ তো এখনও দলের ফুটবলারদের চিনে উঠতেই পারেননি। তিনি কিভাবে ভাল খেলাবেন?’’ বাইচুং অবশ্য এও বলছেন, ‘‘ফাউলারের সবে দুটি ম্যাচ হয়েছে, পাঁচটি ম্যাচ না গেলে তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে না।’’
যদিও লাল হলুদ সমর্থকদের তাতে মন গলছে না। তাঁদের মতে, ডার্বি ম্যাচে হার না হয় ঠিক ছিল, কিন্তু মুম্বইয়ের কাছে তিন গোলে হার, তাদের একরাশ গ্লানি এনে দিয়েছে। এই নিয়ে লাল হলুদের একদা অধিনায়ক প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘ফাউলারের উচিত হল দলের ফুটবলারদের নিয়ে বসে তাদের কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে, সেটি বোঝা। আমার মনে হয় কোচের কথা কেউ বুঝতে পারছে না। তিনি কী চাইছেন, সেটি কারোর মাধ্যমে ফুটবলারদের বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।’’
লাল হলুদ যাঁর কাছে মন্দিরের মতো সেই মহাপ্রাক্তন সমরেশ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘ফাউলারের জ্ঞান নিয়ে আমার প্রশ্ন তোলা উচিত হবে না। তবে বড় দলের সমর্থকদের ধৈর্য্যহীনতার আগে তাঁকে দলকে জয়ের সরণীতে ফেরাতে হবে। না হলে কী হবে কেউ জানে না!’’
প্রশান্ত, সমরেশদের বক্তব্য একই, ‘‘ফাউলারকে আরও তিনটি ম্যাচ সময় দিতে হবে। তিনি চাইলে দলের ফুটবলারদের যে ভাল বোঝে, তার সহায়তা নেওয়া উচিত। কারণ তাঁকে ঘিরে আমাদের অনেক আশা, তিনি কী চান, দলের খেলায় তার ছাপ পড়ছে না।’’ বাইচুংয়েরও অভিমত, তিনি দলের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তিকে কাজে লাগান। এবং দলের প্রথম একাদশকে শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলুন।
এও প্রশ্ন উঠছে, ফাউলার ফুটবলার হিসেবে কিংবদন্তি হতে পারেন, কিন্তু কোচ হিসেবে তেমন পরীক্ষিত হননি। তিনি এ লিগে ব্রিসবেন রোয়ার ক্লাবের কোচিং করিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু মরসুম শেষ করার আগেই ভারতে চলে এসেছেন। সেই জন্যই বড় দলকে নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর তেমন নেই।