
ইজের বুলেট শটে হায়দরাবাদের পয়েন্ট কাড়ল জামশেদপুর
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ম্যাচের ৮৫ মিনিট পর্যন্ত দেখে মনে হচ্ছিল ৩ পয়েন্ট পেতে চলেছে হায়দরাবাদ এফসি। আরিদানে সান্তানার গোলে এগিয়ে ছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু ৮৫ মিনিটের মাথায় জামশেদপুরের ডিফেন্ডার স্টিফেন ইজের বুলেট শটে হাতছাড়া হল নিজামের শহরের জয়। শেষ পর্যন্ত ১-১ ফলে শেষ হল খেলা। ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল দু’দলকে।
গোয়ার তিলক ময়দানে এই খেলায় দু’দলই বেশ কিছু পরিবর্তন করেছিল। হায়দরাবাদের প্রথম এগারোতে চারটে পরিবর্তন করেছিলেন কোচ ম্যানুয়েল মার্কেজ। লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমনি, হীতেশ শর্মা, মহম্মদ ইয়াসির ও লিস্টন কোলাডো সুযোগ পেয়েছিলেন এই ম্যাচে। অন্যদিকে ওয়েন কয়েল রেহেনেশের জায়গায় পবন কুমার ও আইজ্যাকের জায়গায় অমরজিৎকে সুযোগ দিয়েছিলেন এই ম্যাচে।
দু’দলই প্রথমে রক্ষণ সামলে তারপর আক্রমণে ওঠার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু খেলা এগোতে ধীরে ধীরে আধিপত্য বিস্তার করে হায়দরাবাদ। মাঝেমধ্যেই জামশেদপুরের ফাইনাল থার্ডে উঠছিলেন ফুটবলাররা। কিন্তু ফাইনাল পাসের অভাবে গোল আসছিল না। প্রথমার্ধে হোলিচরণ নার্জারির শট পোস্টে লেগে ফেরে। প্রথমার্ধে কোনও গোল আসেনি।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিড পায় হায়দরাবাদ। হীতেশ শর্মার থেকে বল পান হোলিচরণ। বাঁ’দিকে দিয়ে বক্সে ঢুকে শট মারেন তিনি। গোলকিপার পবন কুমার তা প্রতিহত করলেও ফিরতি বল যায় সান্তানার কাছে। ঠান্ডা মাথায় হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এই বিদেশী স্ট্রাইকার।
৭৬ মিনিটের মাথায় একটি নিশ্চিত গোল বাতিল হয় জামশেদপুরের। মনরয়য়ের ফ্রিকিক কাট্টিমনি আটকালেও তা আরিদানের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। কিন্তু লাইন্সম্যান জামশেদপুরের অধিনায়ক পিটার হার্টলের অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করেন। যদিও পরে রিপ্লেতে দেখা যায় তিনি অফসাইড ছিলেন না।
যদিও শেষ পর্যন্ত গোল করে জামশেদপুর। ৮৫ মিনিটের মাথায় টপ বক্সে বল পান ডিফেন্ডার স্টিফেন ইজে। তাঁর ডান পায়ের জোরালো শট বাঁচাতে পারেননি কাট্টিমনি। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হয় খেলা।
এই ম্যাচের পরে ৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে চার নম্বরে উঠে এল হায়দরাবাদ। অন্যদিকে ২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে আটে রয়েছে জামশেদপুর এফসি।