
আইপিএল খেলতে চাইলে রঞ্জি ট্রফিও খেলো, ধোনিকে পরামর্শ কপিলের
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সকলের প্রথমে আইপিএল খেলতে আরবে এসেছিল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস, দেশেও ফিরল সকলের আগে। এত করুণ পরিণতি এইপ্রথম হল সিএসকে-র। দলের যেমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স, দলনায়কেরও তাই। এম এস ধোনি খুব দ্রুত ১৩তম আসর ভুলতে চাইবেন।
পুরো আসরে ১৪টি ম্যাচে মাত্র ২০০ রান করতে পেরেছেন ‘গ্রেট ফিনিশার’ হিসেবে বিখ্যাত ধোনি, করতে পারেননি কোনও হাফসেঞ্চুরিও, স্ট্রাইকরেট মাত্র ১১৬! এছাড়া অধিনায়কত্বেও বিশেষ কিছু দেখা যায়নি। অনেকেই ভেবেছিলেন ধোনি হয়তো এবারই বিদায় বলে জানিয়ে দেবেন। তা হয়নি, বরং শেষ ম্যাচে টসের সময় ধোনি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সামনের বারের আইপিএলও খেলবেন।
যদিও আইপিএল খেলা চালিয়ে নিতে চাইলে ধোনিকে নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছেন কপিল। যাতে করে খেলার মধ্যে থেকে ফিটনেস ও ফর্ম দুটোই ধরে রাখতে পারেন ভারতের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক ধোনি। বছরে একবার মাঠে নেমে বড় কিছু করা যাবে না, সেটিই বলে দিয়েছেন সদ্য সুস্থ হওয়া কপিল। যিনি কয়েকদিন আগেই হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাসিও হয়েছে।
এক ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নামী প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘ধোনি যদি ঠিক করে থাকে যে, প্রতি বছর সে শুধু আইপিএল খেলবে, তাহলে তাঁর পক্ষে ভাল খেলা সম্ভব নয়। আমি তাঁর বয়স নিয়ে কিছু বলছি না, কিন্তু ওর যা বয়স, তাতে বছরে খেলার মধ্যে থাকলেই সেটি ভাল হবে।’’
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন দলনেতা আরও জানিয়েছেন, ‘‘দশ মাস ধরে কোনও ক্রিকেট খেললাম না এবং আচমকা আইপিএলে নেমে গেলে অবস্থা কেমন হতে পারে, তা এবারের আইপিএলেই দেখা গেল। টানা খেলার মধ্যে থাকলে কয়েকটি মরসুম ভাল না যেতেই পারে, যেমন গেইলের ক্ষেত্রে দেখলাম। সে ফর্মেও ফিরে এল। কিন্তু ধোনি যে একদমই খেলার মধ্যে ছিল না, তা ওর খেলাতেই বোঝা গিয়েছে।’’
ধোনিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার পরামর্শ দিয়ে কপিল বলেন, ‘‘ধোনির উচিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা, রঞ্জি ট্রফিও খেলতে পারে। খেলার মধ্যে থাকলে সে ছন্দে থাকবে।’’
কপিল মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘কেউ যখন অনেক বেশি কিছু অর্জন করে ফেলে, তখন তাঁর অফ ফর্মও অনেক বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে আসে। দেখা যাক, তার ক্ষেত্রে এটা কেমন হয়।’’