
বাংলার বাঘ সেরে ওঠো, সৌরভকে বার্তা কপিলের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুকে ব্যথা নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমান বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তারপর থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। অ্যানজিওপ্লাস্টি হয়েছে সৌরভের। বসানো হয়েছে স্টেন্ট। গতকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অংশের ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে ক্রীড়াজগতের অনেকে খোঁজ নিয়েছেন সৌরভের। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এবার সৌরভকে বার্তা দিলেন কপিল দেব। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন তিনি।
নিজের টুইটারে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব লিখেছেন, “সৌরভ, আমাদের বাংলার বাঘ। আশা করছি শিগগির তোমাকে কাজে ফিরতে দেখব। আমাদের সবার প্রার্থনা তোমার সঙ্গে রয়েছে।”
Sourav, our Bengal tiger. Hope to see you back in action soon. All our prayers are with you
— Kapil Dev (@therealkapildev) January 3, 2021
কপিল দেব নিজেও কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। দুর্গা পুজোর সপ্তমীর দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তাঁরও অ্যানজিওপ্লাস্টি হয়। দু’দিন হাসপাতালে থাকার পরে নবমীর দিন ছাড়া পান তিনি। সেই সময় বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে কপিলের খোঁজ নিতে দেখা গিয়েছিল সৌরভকে। এবার সৌরভের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করলেন কপিল।
গতকালই অ্যানজিওপ্লাস্টি হয়েছে সৌরভের। যে ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকেজ ছিল, তাতে বসানো হয়েছে স্টেন্ট। তবে এখনও আরও দু’টি ব্লকেজ রয়েছে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হার্টে। সে দু’টিতেও স্টেন্ট বসাতে হবে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে সে অস্ত্রোপচার কবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। ৮ জন ডাক্তারের মেডিক্যাল বোর্ড আলোচনার পরে সেই তারিখ ঠিক করবে বলে জানা গেছে।
শুধু তাই নয়। এর পাশাপাশি সামনে এসেছে, সৌরভের পরিবারের সদস্যদের হাইপার কোলেস্টেরল রয়েছে, যা বংশগত ভাবে দাদার শরীরেও প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এক্ষেত্রে হার্টকে সুস্থ রাখার চ্যালেঞ্জ যে আরও একটু বেশি, তা বলাই বাহুল্য। ধমনীর মধ্যে রক্ত জমে ব্লক হয়ে যাওয়ার কারণে মাইল্ড অ্যাটাক হয় সৌরভের। সেই ব্লক ছাড়িয়ে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্যই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট বসানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় স্টেন্ট বসানোর পরে সৌরভকে আরও অন্তত তিন সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হবে। তার পরেই স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে পারবেন দাদা।
রবিবার সকালে হাসপাতালের তরফে যে বুলেটিন দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে আর কোনও সমস্যা হয়নি সৌরভের। তিনি ভাল করে ঘুমিয়েছেন। এমনকি রবিবার সকালেও তিনি ঘুমিয়েছেন। রাতে একবারই ঘুম ভেঙেছিল দাদার। তখন তাঁকে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। সেই ওষুধ খেয়ে ফের ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
রাতে তাঁর দেখভালের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন বলে খবর। এছাড়া সৌরভের স্ত্রী ডোনাও তাঁর পাশের কেবিনেই ছিলেন রাতে। আজ সকালে ব্রেফফাস্ট ঠিকমতো করেছেন তিনি। পড়েছেন খবরের কাগজও। চিকিৎসায় সহযোগিতা করছেন পুরোপুরি ভাবে।