
ভবানীপুরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মহামেডান, আইলিগে পা সাদা-কালো শিবিরের
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ সাত বছর পর ফের আইলিগের মূলপর্বে জায়গা করে নিল মহামেডান স্পোর্টিং। বলা ভাল, এবারের আইলিগে বাংলার একমাত্র ক্লাব হিসেবে খেলবে তারা। দুই প্রধান আইএসএলে চলে যাওয়ার পরে অবশ্য মহামেডানের সামনে রয়েছে ট্রফি জয়ের সুযোগও।
ক্লাবের পরিচালন সমিতিতে বদলের প্রভাব দলের পারফরম্যান্সেও পড়েছে। ওয়াসিম আক্রম, দীপেন্দু বিশ্বাসরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে অনেক ভাল ভাল ফুটবলার এসেছেন দলে। উইলিস প্লাজা, কিংসলে, ফৈয়াজদের মতো ফুটবলারদের দলে নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে দলের নতুন স্পনসরও এসেছে। কল্যাণীতে আবাসিক শিবিরও করেছে সাদা-কালো শিবির। আর তার প্রভাব দেখা গেল। শাপমোচন হল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের। ভবানীপুরকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল মহামেডান স্পোর্টিং। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ১১ নম্বর দল হিসেবে ২০২০-২১ আই লিগের মূলপর্বে চলে গেল সাদা-কালো শিবির।
অবশ্য খাতায়-কলমে ফাইনালের লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের জন্য। কারণ সামনে ছিল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ভবানীপুর। তারমধ্যে এবারই ভবানীপুরে সই করেছেন অভিজ্ঞ শিল্টন পাল। তাই লড়াই ছিল সেয়ানে সেয়ানে। আর সেখানেই বাজি মারলেন মহামেডানের গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিং। বিপক্ষ দলে শিল্টন থাকলেও যেভাবে গোলকিপিং করলেন প্রিয়ন্ত তা দেখার মতো। কিংসলের নেতৃত্ব সাদা-কালো ডিফেন্সও দারুন খেলল। আর তার ফলেই গোলের দরজা খুলতে পারেনি ভবানীপুর।
অন্যদিকে উইলিস প্লাজার মতো স্ট্রাইকার থাকলেও ফাইনালে জ্বলে উঠলেন ভানলালবিয়া ছাংতে ও গনি আহমেদ নিগম। ২৭ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত ধরে ফৈয়াজের সঙ্গে ওয়ান টু খেলে বক্সের মধ্যে বল পাঠান উইলিস প্লাজা। বক্সে থাকা ছাংতে শিল্টনকে পরাস্ত করে বল জড়িয়ে দেন জালে। এগিয়ে যায় মহামেডান। ৩৭ মিনিটের মাথায় ফিলিপ আদজা বক্সের মধ্যে প্রিয়ন্তকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন গনি আহমেদ নিগম। আর নেমেই সুপার সাব হয়ে ওঠেন তিনি। ৬৭ মিনিটের মাথায় ফ্রিকিক থেকে হেড করেন মনোতোষ চাকলাদার। সেই বল চেস্ট ট্র্যাপ করে নামিয়ে বাঁ’পায়ের জোরালো শটে গোল করে মহামেডানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন গনি নিগম। তারপরে প্রায় ২৫ মিনিট সময় পেয়েও খেলায় ফিরতে পারেনি ভবানীপুর ক্লাব। ২-০ গোলেই ম্যাচ জেতে মহামেডান।
এদিন ম্যাচ জিতে ওঠার পরে সদস্য-সমর্থকদের সব কৃতিত্ব দিয়েছেন সাদা-কালো শিবিরের সচিব ওয়াসিম আক্রম। তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম, ঘাম ও ত্যাগের ফলে এই ট্রফি এসেছে। করোনা পরিস্থিতিতে এই ধরনের একটা টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।