
দুরন্ত খেলেও হার ইস্টবেঙ্গলের, লাল-হলুদকে হারিয়ে লিগ শীর্ষেই মুম্বই
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খেলল ইস্টবেঙ্গল, ম্যাচ জিতল মুম্বই সিটি এফসি। গোয়ার তিলক ময়দানে ৯০ মিনিটের খেলার পরে এটাই বলা যায়। বল পজিশন থেকে শুরু করে গোলে শট সব বেশি লাল-হলুদ ব্রিগেডের। কিন্তু গোলটাই যা এল না। অন্যদিকে প্রথমার্ধে মোর্তাদা ফলের হেড মুম্বইকে জিতিয়ে দিল। মোহনবাগানের পরে এবার ইস্টবেঙ্গলকেও ১-০ গোলে হারাল মুম্বই সিটি এফসি।
শুরুতে অবশ্য আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল মুম্বইকে। মুম্বই আক্রমণকে সামলাতে গিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যেই হলুদ কার্ড খেতে হয় ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ড্যানি ফক্সকে। সুযোগও চলে আসে শুরুতে। ১২ মিনিটের মাথায় রওলিন বর্জেসের বুলেট শড় সরাসরি দেবজিৎ মজুমদারের হাতে জমা পড়ে। পরের মিনিটেই হুগো বুমোর শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। নইলে লিড পেতে পারত মুম্বই।
মাঝমাঠকে কাজে লাগিয়ে মাঝেমধ্যে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মুম্বইয়ের অ্যাটাকিং থার্ডে এসে সেই আক্রমণ দানা বাঁধছিল না। অন্যদিকে গোলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল মুম্বই। তার ফলও মেলে। ২৭ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ফিরতি বল বক্সের মধ্যে তোলেন হুগো বুমো। অরক্ষিত অবস্থায় হেড করে মুম্বইকে এগিয়ে দেন মোর্তাদা ফল। লাল-হলুদের কোনও ডিফেন্ডার সেই সময় ধারে কাছে ছিলেন না।

গোল খাওয়ার পর অবশ্য খেলার ছবিটা বদলায়। অনেক বেশি তাগিদ দেখা যায় ইসবেঙ্গল ফুটবলারদের মধ্যে। নিজেদের মধ্যে বল ধরে খেলছিলেন তাঁরা। অন্যদিকে মুম্বইকে আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় অনেক সাধারণ দেখাচ্ছিল। তারপরেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে লে-ফন্ড্রের হেড একটুর জন্য বাইরে যায়। নইলে প্রথমার্ধেই দু’গোলে এগিয়ে যেত মুম্বই সিটি এফসি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপ বাড়ায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। মহম্মদ রফিক নামায় আরও কিছুটা সচল হয় উইং। মাঘোমা, স্টেইনমেন, পিলকিংটনদের দেখে অনেক বেশি সপ্রতিভ দেখাচ্ছিল। নিজেদের মধ্যে অজস্র পাস খেললেও ফাইনাল পাসে সমস্যা হচ্ছিল। অন্যদিকে মাঝেমধ্যেই কাউন্টারে উঠছিল মুম্বই। দু-একটি ভাল সেভ করতে হয় দেবজিৎকে। ৫৯ মিনিটের মাথায় পিলকিংটনের শট ভাল বাঁচান অমরিন্দর সিং।
গোল পেতে ব্রাইট এনোবাখারেকে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাউলার। ফলে আরও আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে। ৬৩ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ড্যানি ফক্সের হেড একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। বলের দখল ইস্টবেঙ্গল অনেক বেশি নেওয়া শুরু করে। কিন্তু মুম্বই ডিফেন্সে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন মোর্তাদা ফল।
৭০ মিনিটের পর থেকে খেলাটা হচ্ছিল মুম্বইয়ের অর্ধেই। মাঝেমধ্যেই কড়া ট্যাকল করছিলেন মুম্বই সিটির ফুটবলাররা। তার মধ্যেই ব্রাইট-মাঘোমাদের পায়ে দু’একটি ভাল সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন লাল-হলুদ স্ট্রাইকার হরমনপ্রীৎ সিং। নইলে সমতা পেতেই পারত তারা।
শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। পরপর সাত ম্যাচ অপরাজিত থাকার পরে ফের একবার হারের মুখ দেখতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। সেই সঙ্গে মুম্বই আরও একটি ম্যাচ জিতে লিগ শীর্ষেই থাকল।