
মুম্বইয়ের অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটছেই, অসহায় আত্মসমর্পণ কৃষ্ণদের
মুম্বই সিটি এফসি : ১
এটিকে-মোহনবাগান : ০
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ম্যাচের ৮০ মিনিটে প্রথম কর্ণার পেয়েছে এটিকে-মোহনবাগান। যা থেকে বোঝা যায় ম্যাচের আসল চিত্র। কাদের বল দখল বেশি ছিল, কারা গোলের সুযোগ তৈরি করেছে, এগুলি ম্যাচ শেষে বড়ই অবান্তর। কেননা মুম্বই সিটি এফসি যেভাবে খেলার নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিল, তাতে হাবাসের দলের হার অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
খেলা শেষে স্কোর সেই খেলারই বড় নির্দশন, মুম্বইয়ের জয় ১-০ গোলে। তারা শীর্ষে ছিল, ফার্স্ট বয়ই থেকে গেল পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে। লিগের প্রথম অর্ধে তারাই প্রথম তালিকায়। মুম্বইয়ের ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট হয়ে গেল। এটিকে-মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট পেয়ে অনেকটা পিছনে চলে গেল।
যেহেতু খেলাটির নাম ফুটবল, সেই কারণে রেফারির শেষ বাঁশির জন্য অপেক্ষা ছিল মোহন জনতার। কিন্তু একটা শক্তিশালী দল, যারা মোট ১০টি ম্যাচ টানা জয়ের মুখ দেখল, তাদের বিরুদ্ধে খেলতে গেলে একটা কোচকে ঝুঁকি নিয়ে আক্রমণে যেতে হয়। তাতে দুটি বিষয় হয়, এক অনেক গোলে হারতে হবে দলটিকে, অন্যদিকে প্রত্যাঘাত হেনে তারাই জয় পাবে।
হাবাস সেই ঝুঁকিটাই নিলেন না। কৌশলে রদবদল আনা উচিত ছিল এই ম্যাচটিতে। বাঘের গুহায় প্রবেশ করেই যদি কেউ মরে যায়, তা হলে বাঘের আর কিছু করার থাকে না। সেটাই হয়েছে এটিকে-এমবি দলের।
তারা শুরু থেকেই ম্যাচে খোলসে ঢুকে ছিল। কোচ ভেবেছিলেন, প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে তিনি কাজ হাসিল করবেন। গত নয়টি ম্যাচে তাও বিরতির পরে তিনি কৌশল বদলে আক্রমণে গিয়েছিলেন, সোমবার তাও করেননি। টানা ডিফেন্সিভ খেললে অনেক ঝুঁকি থেকে যায়, একবার দলের রক্ষণ ভেঙে গেলে হার নিশ্চিত, সেটাই হয়েছে এদিনের ম্যাচে।
মুম্বই এমন একটি দল যারা জানে কিভাবে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে হয়, তাই তারা রক্ষণ জোরদার করেছে, এমনকি আক্রমণে গিয়েছে। তাই ম্যাচের একমাত্র গোলটি মুম্বই পেয়েছে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকেই। নিজেদের বক্সের কাছে গার্সিয়া পড়ে গিয়েছিলেন, সেই কারণে কোচ রেফারির কাছে ফাউল চান। কিন্তু তার মধ্যেই মুম্বই এগিয়ে গিয়েছে, এবং দারুণ এক যুগলবন্দীতে গোলটি করেছেন বার্থোলোমিউ ওগবেচে। তিনি ও বোউমাসের দাপটে সারা ম্যাচে ত্রস্ত ছিলেন সবুজ মেরুন ডিফেন্ডাররা।
খেলার শুরু থেকে চিত্র দেখলে দেখা যাবে টানা আক্রমণ করে গিয়েছে মুম্বই। একবার তো মোহনবাগানের হয়ে গোললাইন সেভ করেন রক্ষণের ফুটবলাররা। বহুবার অরিন্দম বাঁচিয়েছেন, না হলে আগেই গোল খেয়ে যায় হাবাসের দল। সারা ম্যাচে রয় কৃষ্ণদের একবারের জন্যও ভয়ঙ্কর দেখায়নি। হাবাসের কৌশলেই পুরো দল গুটিয়ে থাকল। বরং বোউমাস-ওগবেচেরাই ম্যাচে ত্রাস হয়ে উঠলেন বারবারই।
এটিকে-মোহনবাগান: অরিন্দম ভট্টাচার্য, প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিঙ্গান, তিরি, শুভাশিস বোস, এদু গার্সিয়া, গ্লেন মার্টিন্স, জাভি হার্নান্দেজ (ব্র্যাড ইনম্যান), মনবীর সিং, রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস।
মুম্বই সিটি এফসি: অমরিন্দর সি, অমেয় রানাওয়াদে, মোর্তাদা ফল, হার্নান সান্তানা, মন্দার রাও দেশাই, রাওলিন বোর্জেস, রেনিয়ার ফার্নান্দেজ, সিওয়াই গড্ডার্ড, হুগো বোউমাস, বিপিন সিং, বার্থোলোমিউ ওগবেচে।