
নির্বাচন হচ্ছে না ইস্টবেঙ্গলে, মনোনয়নই জমা দিলেন না মুখ্যমন্ত্রীর দাদা, সচিব সেই কল্যাণ
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইএফএ চেয়ারম্যানকে দেওয়া মোহনবাগানের চিঠিতে কাজ হয়েছে। সবুজ মেরুনের গত কার্যকরি কমিটির সভায় বলা হয়েছিল, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মসমিতিতে থেকে আইএফএ প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন না অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাদার বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন মোহনবাগান কর্তারা। তাঁরা এও জানান, কী করে লাল হলুদের কমিটিতে থেকে আইএফএ-র শীর্ষ পদে থাকতে পারেন তিনি।
বিষয়টি যে ভালই সাড়া পেয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল অজিত বাবু ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতিতে কোনও মনোনয়নই জমা দিলেন না। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিনও চলে গিয়েছে। তাই পরিষ্কার, তিনি এবার আইএফএ প্রেসিডেন্ট পদই সামলাবেন।
যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দাদার দুটি পদ আঁকড়ে থাকা নিয়ে যে বিতর্ক ছিল ময়দানে, সেটির অবসান ঘটেছে। এই নিয়ে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু এদিন জানিয়েছেন, ‘‘আমরা তো কোনও অন্যায় প্রতিবাদ করিনি। তিনি কী করে ইস্টবেঙ্গলের কমিটিতে থেকে আইএফএ পরিচালনা করবেন? এটা তাঁর অনেক আগেই করা উচিত ছিল, তা হলে তাঁর নামের প্রতি তিনি আগেই সুবিচার করতেন।’’
পাশাপাশি এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইস্টবেঙ্গলে ক্লাবের নতুন কর্মসমিতিও হয়ে গেল। টানা ছয়বার সচিব পদে বসতে চলেছেন কল্যাণ মজুমদার। তিনি বলেছিলেন, আর সচিব পদে থাকবেন না, কিন্তু শাসকগোষ্ঠীর তরফে তাঁর নামই সচিব পদে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি রেকর্ড হতে চলেছে। এতবার সচিব জ্যোতিষ গুহও হননি। বিগত ২০০৩ সাল থেকে কল্যাণ বাবু সচিব পদে রয়েছেন। তিনি এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন কর্তা, আবার তিনি সাহিত্যিকও।

বিরোধী গোষ্ঠীর তরফে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি। কার্যত ইস্টবেঙ্গলে বিরোধীদের কোনও অস্তিত্ব নেই, সেটি ফের বোঝা গেল। শাসকগোষ্ঠীর তরফে যে মনোনয়ন পেশ করা হয়েছে, তাতে বেশ কিছু পদে অদল-বদল করা হয়েছে। যেমন ফুটবল সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রজত গুহকে। নতুন ফুটবল সচিব হতে চলেছেন সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রিকেট সচিব হিসেবে নাম রয়েছে মানস রায়ের। স্বর্ণ ব্যবসায়ী রূপক সাহা মনোনয়ন দিয়েছেন সহ-সচিব পদে। ১৮ এবং ১৯ জানুয়ারি মনোনয়ন খতিয়ে দেখা হবে। ২২ জানুয়ারি সরকারি ভাবে ঘোষণা হবে প্যানেল।