
গোল উৎসবে মাতলেন রোনাল্ডোরা, করোনা নিয়ে ম্যাচ খেললেন ক্রোট অধিনায়ক
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিরতির পরে যখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো মাঠে নামেন, সেইসময় পর্তুগাল এগিয়েছিল ২-০ গোলে। রোনাল্ডো নামার পরে আরও পাঁচ গোল হয় পর্তুগালের। শেষমেশ অ্যান্ডোরাকে তারা হারায় ৭-০ গোলে।
জুভেন্টাসের হয়ে শেষ ম্যাচে চোট পান রোনাল্ডো, তিনি মাঠে নামবেন কিনা সেই নিয়ে সংশয় ছিল, কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে নামেন, গোল করেন, গোল করানও। বলা যেতে পারে মন জয় করে নিয়েছেন দেশের ফুটবল প্রেমী মানুষের। তাঁকে প্রথম একাদশে না দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন, কিন্তু কোচ তাঁকে নামানোর পরেই সতীর্থরা আরও তেড়েফুড়ে খেলতে থাকেন।
পেদ্রো নেতো, পোলিনহোরা পর্তুগালের হয়ে অভিষেকেই গোল পেয়েছেন। ২০১৬ ইউরোর পর এই চার বছরে দেশের হয়ে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন রেনাতো সাঞ্চেজ। সারা ম্যাচে তিনি সবচেয়ে ভাল খেলেছেন। খেলার ৫৬ মিনিটে তাঁকে দিয়ে গোল করিয়েছেন রোনাল্ডো।
নেতো ও পোলিনহোর গোলে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। বিরতির পর আরও পাঁচ গোল আদায় করে নেয় স্যান্টোসের দল। পোলিনহো, রোনাল্ডো, সাঞ্চেজ ও হোয়াও ফেলিক্সের গোল ছাড়াও অ্যান্ডোরার এমিলি গার্সিয়ার আত্মঘাতী গোলও রয়েছে। হেডে গোলটি করেছেন রোনাল্ডো, এটি নিয়ে দেশের হয়ে তাঁর গোলসংখ্যা ১০২টি।
আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডধারী ইরানের আলি দায়িকে স্পর্শ করতে ৭ গোল চাই রোনাল্ডোর। বিরতির পর মাঠে নামলেও মাঠে ভীষণ সক্রিয় ছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। অ্যান্ডোরার জালে গোল করতে মোট ২৫বার চেষ্টা করেছে স্যান্টোসের দল। তার মধ্যে রোনাল্ডো একাই নিয়েছেন ৭টি শট।
এদিকে, বিশ্ব ফুটবলে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটেছে। ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক দোমাগজ ভিদা তুরস্কের বিরুদ্ধে খেলায় প্রথমার্ধে যখন মাঠে ছিলেন, তখন জানা ছিল না তিনি কোভিড পজিটিভ। কিন্তু বিরতির পরে দলের ম্যানেজার ভিদার রিপোর্ট আনার পরে দেখা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। তারপরেই মাঠ থেকে সোজা হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে হোম আইসোলেশনে রেখে দেওয়া হয়েছে।
