
এতদিনে অ্যাস্ট্রোটার্ফই হল না, যুবভারতীর পাশে সাড়ে ২০ কোটির হকি স্টেডিয়াম গড়ার ঘোষণা রাজ্য সরকারের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেটন কাপের মতো সবচেয়ে প্রাচীন হকি টুর্নামেন্টের জৌলুস শেষ হয়ে গিয়েছে। নামকোওয়াস্তে হয় ঠিকই, কিন্তু সেই উন্মাদনা আর নেই। গতবছর অবশ্য হয়নি লকডাউনের কারনে, এবারও হবে না। প্রায় তিন দশক ধরে কলকাতা মাঠে হকির অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানো নিয়ে অনেক আশ্বাস দিয়েছে প্রত্যেকেই। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যে সরকারই এসেছে, তারাই সেনাবাহিনীর ঘাড়েই বন্দুক রেখেছে।
রাজ্য হকি সংস্থার তরফ থেকেও কোনও উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করা হয়নি। যিনি এই ব্যাপারে তদ্বির করতে পারতেন, প্রাক্তন অলিম্পিয়ান গুরবক্স সিং দিনের পর দিন ক্ষমতায় থেকেও কিছুই করতে পারেননি। একটা সময় তিনি বছরে দুইবার করে প্রেস কনফারেন্স ডেকে বলতেন, অ্যাস্ট্রোটার্ফের বিষয়ে তারা অনেকটাই এগিয়েছেন, অনুমতি দরকার শুধু রাষ্ট্রপতির, তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বললেই ফাঁস খুলবে।
বেটনের মতো টুর্নামেন্টে সেরা দলগুলি সেই কারণে আসে না, এলেও তারকাবিহীন খেলতে আসে। কারণ ঘাসের সারফেসে হকি খেলা কঠিনই। হকি লিগ কবে শুরু হয়ে কবে শেষ হয়, কেউ জানে না। বিএইচএ-র ভূমিকায় হকি আরও অন্ধকারে চলে গিয়েছে।
ঠিক সেইসময় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ঘোষণা করেছেন, কলকাতায় আন্তর্জাতিকমানের হকি স্টেডিয়াম হবে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের এক নম্বর গেটের সামনে তিন একর জমির ওপর হকি স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। মোট সাড়ে হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন ৮২৫০ বর্গ ফুট মাঠের ধারে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের আদলে মাঠটি তৈরি করা হবে। মাঠটি হবে অ্যাস্ট্রোটার্ফের। স্টেডিয়ামটি গড়তে খরচ হবে প্রায় ২০.৫৩ কোটি টাকা। কবে মাঠের কাজ শেষ হবে, সেটি জানাতে পারেননি তিনি।
মন্ত্রীর পাশে বসে অলিম্পিয়ান গুরবক্স জানান, ‘‘আমাদের বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য, তাঁকে আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই।’’ কেন কী কারণে এতদিন অ্যাস্ট্রোটার্ফ হয়নি, সেই পুরনো কথা আর টানতে চাননি নামী প্রাক্তন তারকা।