
এই ত্রয়ী জিতেছেন আই লিগ এবং আইএসএল, এবারের আসরেও থাকবেন তাঁরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইএসএলের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই দলগুলি মাঠে নেমে পড়বে। কাউন্টডাউন শুরু, এতগুলি দল, বহু ফুটবলার, কিন্তু তার মধ্যে মাত্র তিনজন ফুটবলার রয়েছেন, যাঁরা আই লিগ ও আইএসএল দুটি লিগেই খেলেছেন, এবং জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। একজন তো ভারতীয় ফুটবলের সেরা আইকন সুনীল ছেত্রী, বাকি দু’জন হলেন জেজে লালপেখুয়া ও অরিন্দম ভট্টাচার্য।
সুনীল ছেত্রী (বেঙ্গালুরু এফসি)
ভারতীয় ফুটবলের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। তিনি এই বছর দশেক ধরেই ভারতের সেরা ফুটবল আইকন, তিনিই জাতীয় দলের অধিনায়ক। ৩৬ বছর বয়সী মেজর জেনারেলের এই পুত্র ইউরোপ ও আমেরিকাতেও খেলতে গিয়েছিলেন।
বেঙ্গালুরু এফসি-র বহুদিনের অধিনায়ক। তাঁর নেতৃত্বেই বেঙ্গালুরু প্রথম আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ধারাবাহিকভাবে কিভাবে সেরা পারফরম্যান্স করতে হয়, তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর সর্বোচ্চ গোল লিওনেল মেসির থেকেও বেশি।
সুনীল বেঙ্গালুরুর হয়ে যেমন আইএসএল জিতেছেন, তেমনি আই লিগ সেরা হয়েছেন ডেম্পো, চার্চিল ও বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে। সেইসময় বেঙ্গালুরু এফসি আই লিগই খেলেছিল, তারপরে তারা আইএসএলে সুইচওভার করে।
জেজে লালপেখুয়া (ইস্টবেঙ্গল)
ইস্টবেঙ্গলের এই মরসুমের তারকা ফুটবলার। তিনি এবারও লাল হলুদ দলের বড় ভরসা। কোচ রবি ফাউলার তাঁকে কিভাবে ম্যাচে ব্যবহার করবেন, সেই নিয়ে ধন্ধ রয়েছে। কেননা জেজে ফর্মে নেই, এটা বলা হচ্ছে।
জেজে এর আগে মোহনবাগানের হয়ে ২০১৪-১৫ মরসুমে আই লিগ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ১২টি ম্যাচ খেলেছিলেন, সব ম্যাচেই তিনি ছিলেন উজ্জ্বল।
মোহনবাগান ছেড়ে এই পাহাড়ি ফুটবলার চলে যান চেন্নাইয়ান এফসি-র হয়ে খেলতে, সেবার আইএসএল দলের হয়ে দারুণ খেলেছিলেন। বহু ম্যাচে তাঁর পা থেকে গোল আসে। ২৯ বছরের এই তারকা স্ট্রাইকারের খেলার বড় গুণ তিনি মাঠের শ্যাডো স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে ভালবাসেন। চোরা গতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি বিপক্ষকে পরাস্ত করতে ভালবাসেন।
অরিন্দম ভট্টাচার্য (এটিকে-মোহনবাগান)
ভারতীয় ফুটবলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক। বহুদিন আগেই তিনি কলকাতা ছেড়েছেন। ভিনরাজ্যে খেলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। একসময় ভারতীয় দলের নিয়মিত গোলরক্ষক ছিলেন, তারপর ক্লাব ফুটবলেই মনোনিবেশ করেন।
২০০৮ সালে অরিন্দম গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্সে যোগ দেন, ওই ক্লাবের হয়েই আই লিগ জেতেন ২০০৯-১০ মরসুমে। সেবছর চার্চিল ফেডারেশন কাপও জিতেছিল।
গত বছরই তিনি এটিকে-মোহনবাগানে যোগ দিয়েছিলেন। ফাইনালে চেন্নাইয়ান এফসি-র বিরুদ্ধে দারুণ ম্যাচ উপহার দিয়ে হন ফাইনালে সেরা তারকা। তিনি এবারও হাবাসের দলের প্রধান গোলরক্ষক।