
বিবেকের সেঞ্চুরি, ঈশানের দুরন্ত স্পেলে ধোনির রাজ্যকে হারাল বাংলা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দারুণ মেজাজে রয়েছেন বঙ্গ ক্রিকেটাররা। গত ম্যাচে ওড়িশাকে হারানোর পরে মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সে সৈয়দ মুস্তাক আলি টোয়েন্টি ২০ ম্যাচে এম এস ধোনির রাজ্য ঝাড়খন্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে দিয়েছে অনুষ্টুপ মজুমদারের দল। বাংলার পরবর্তী ম্যাচ বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচে আট পয়েন্ট সংগ্রহ করে বাংলা বি গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে।
বাংলার হয়ে ব্যাটিংয়ে বিবেক সিং দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন টোয়েন্টি ২০ ম্যাচে। ভাল বোলিং করে ফের নজর কাড়লেন ঈশান পোড়েল, তিনি ৩৪ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন। গত ম্যাচেও ঈশান নিয়েছিলেন চার উইকেট।
এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে তোলে ১৬১ রান ছয় উইকেটের বিনিময়ে। দলের ওপেনার বিবেক একাই ৬৪ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। ইনিংসে ছিল ১৩টি চার ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি। শ্রীবৎস ২৭ রান করেন, কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউই সফল হননি। দলনেতা অনুষ্টুপ, মনোজ, শাহবাজরা একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝাড়খন্ড ১৪৫/৯-র বেশি করতে পারেনি। শুরু থেকেই ঈশান কিষান (২০) ও বিরাট সিংদের দাপট ভালই ছিল। ঈশানকে ফেরান স্পিনার অর্ণব নন্দী ও ৪৭ রানে বিরাটকে ফিরিয়ে ঝাড়খন্ডের উপর পাল্টা চাপ দেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। মিডল অর্ডারে জমে যাওয়া অনুকূল-উৎকর্ষ জুটিকে ভাঙেন মুকেশ কুমার। বাংলার সব বোলাররা কোনও না কোনওভাবে অবদান রেখেছেন। ধোনি যদিও এ ম্যাচে খেলেননি, তিনি এখনও দুবাইতে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
একসময় জয়ের জন্য ঝাড়খন্ডের প্রয়োজন ছিল ৩ ওভার ৩ বলে ৪০ রান। হাতে ৪ উইকেট। টি২০ ক্রিকেটে এই পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ হামেশাই জিতে নেয় যে কোনও দল। প্রথম স্পেলে কোনঠাসা ঈশান জ্বলে ওঠেন দ্বিতীয় স্পেলে। অনুকূল-শাহবাজকে ফিরিয়ে ম্যাচের নায়ক হন চন্দননগরের পেসার। তিনি দ্বিতীয় স্পেলে তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
যদিও এও ঠিক, বিবেক সিংয়ের সেঞ্চুরি বাদ দিয়ে বাংলার ব্যাটসম্যানদের হাল ভাল নয়। হায়দরাবাদ ম্যাচে যদি সামগ্রিকভাবে দলের ফর্ম ভাল না হয়, তা হলে দুঃখ রয়েছে।