
ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালে হার দিয়ে অভিযান শুরু সিন্ধুর, ব্যর্থ শ্রীকান্তও
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুরুতেই ছন্দহীনতার পরিচয় দিলেন পি ভি সিন্ধু।
ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালের প্রথম ম্যাচেই বিশ্বের এক নম্বরের কাছে হারতে হল ভারতীয় শাটলারকে। ৫৯ মিনিটের লড়াই শেষ ২১-১৯, ১২-২১, ১৭-২১ পয়েন্টে।
তাই-এর কাছে ২১ ম্যাচে এই নিয়ে ১৬বার হারলেন সিন্ধু। পরের খেলায় সিন্ধুর সামনে রাতচানোক ইন্তানোন, যাঁর কাছে গত সপ্তাহেই হেরেছিলেন সিন্ধু, টয়োটা থাইল্যান্ড ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে।
প্রথম গেমেই দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছিলেন এই হায়দরাবাদী। বিশ্বের এক নম্বরের বিরুদ্ধে ৮-১১, ১০-১৪ পিছিয়ে থেকেও ১৬-১৬ করেছিলেন এবং তারপর ১৯-১৯। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রিও অলিম্পিকে রুপো-পাওয়া সিন্ধুকে ছেড়ে কথা বলবেন না তাই, নিশ্চিত। কিন্তু পরের দুটি পয়েন্টই দ্রুত জিতে দ্বিতীয় গেমে যান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সিন্ধু। এমনকি প্রথম ম্যাচে হারলেন কিদাম্বি শ্রীকান্তও।
দ্বিতীয় গেমে অবশ্য তাইওয়ানের তাই-কে রোখা যায়নি। ০-৬, ৪-৯, ৯-১৯, কখনও থিতু হতে দেননি সিন্ধুকে। তৃতীয় গেমে সিন্ধু অবশ্য লড়েছিলেন প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় বাছাইয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু ব্রেক-এর সময় ৯-১১ পিছিয়ে। ১৭-১৯ পিছিয়ে যখন, পরপর দুটি পয়েন্ট নিয়ে প্রথম ম্যাচে জিতে গেলেন তাই।
১৫ লক্ষ ডলার পুরস্কার মূল্যের ওয়া্র্ল্ড ট্যুর ফাইনালে পুরুষ ও মহিলাদের সেরা শাটলাররা খেলেন। গ্রুপ পর্যায়ে খেলার পর নকআউট। তাই প্রথম ম্যাচে হারের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন সিন্ধু, পরের ম্যাচে রাতচানোকের বিরুদ্ধে।
বিশ্বের সেরা আট প্লেয়ার খেলতে নেমেছেন এই টুর্নামেন্টে। যে কারণে ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসকেই বলা হচ্ছে অলিম্পিকের জন্য সেরা প্রস্তুতির জায়গা। যিনি জিতবেন, অলিম্পিকের জন্য প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাসও পেয়ে যাবেন।
করোনার জন্য সেই মার্চ মাস কোর্টে নামতে পারেননি সিন্ধু, হারে সেটাই বোঝা গেল। গ্রুপ লিগে আরও দুটি ম্যাচ রয়েছে সিন্ধুর। ওই দুটি ম্যাচ জিতলে তবেই সেমিফাইনালে যাবেন সিন্ধু।